বাজারে কেনাকাটা বাড়াতে মধ্যবিত্তকে আয়করে ছাড় দেওয়ার পরে এ বারে এমন কিছু পণ্যে জিএসটি-র বোঝা কমানোর কথা ভাবা হচ্ছে, যেগুলি মূলত গরিব-মধ্যবিত্ত নিত্য ব্যবহার করে থাকে।
সরকারি সূত্রের খবর, জিএসটি-র হার কমানো হলে সস্তা হতে পারে টুথপেস্ট থেকে স্যানিটারি ন্যাপকিন, খাতা, আঁকার খাতা থেকে জ্যামিতি বাক্স। সস্তা হতে পারে ইস্ত্রি, গিজ়ার, ওয়াশিং মেশিন বা ভ্যাকুয়াম ক্লিনারের মতো বৈদ্যুতিক পণ্য, যেগুলি ছাড়া মধ্যবিত্তের চলেই না বলতে গেলে। পাশাপাশি কৃষির যন্ত্রপাতি থেকে টিকা, জামাকাপড়, চটি-জুতোও হয়তো আসবে এই তালিকায়। চলতি মাসেই জিএসটি পরিষদের বৈঠক ডেকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হতে পারে।
কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক সূত্রের বক্তব্য, জিএসটি-তে করের হারে রদবদল করে শুধু তিন রকম জিএসটি-র হার রাখা হবে— ৫%, ১৮% ও ২৮%। ১২% জিএসটি হার তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা হচ্ছে। যে সব ক্ষেত্রে এখন ১২% জিএসটি আদায় হয়, তার মধ্যে খাদ্যপণ্য ও রোজকার ব্যবহারের পণ্য ৫%-র শ্রেণিতে নিয়ে আসা হবে। বাকি ক্ষেত্রে জিএসটি ১২% থেকে বেড়ে ১৮% হবে। সিগারেট, সোডাযুক্ত নরম পানীয়, বিলাসবহুল গাড়ির মতো বেশ কিছু পণ্যে এত দিন ২৮% জিএসটি-র উপরেও বাড়তি সেস বসত। যে টাকা দিয়ে রাজ্যগুলির রাজস্ব ক্ষতি পূরণ করা হত। ২০২৬-এর ৩১ মার্চ এই সেসের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। তার পরেও স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সেসের নামে এ সব ক্ষেত্রে চড়া কর আদায় করা হবে।
অর্থ মন্ত্রক মনে করছে, শহরের বাজারে কেনাকাটায় যে মন্দার ছবি ছিল, গত বাজেটে মধ্যবিত্তকে আয়করে ছাড় দেওয়ার পরে তাতে কিছুটা উন্নতি হয়েছে। জিএসটি কমার ফলে নিত্য পণ্য সস্তা হলে কেনাকাটা আরও বাড়বে। অর্থনীতিতে তার সুফল মিলবে। জিএসটি হার কমানোর ফলে প্রাথমিক ভাবে সরকারের ৪০-৫০ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতি হতে পারে। তবে কেনাকাটা বাড়লে জিএসটি আদায়ও বাড়বে। জুনে জিএসটি থেকে আয়ের ছবি বিশেষ উজ্জ্বল নয়। তবু অর্থ মন্ত্রকের মত, জিএসটি থেকে আয় এখন জিডিপি-র ৭% ছাপিয়ে গিয়েছে। যা ভ্যাট-উৎপাদন শুল্কর জমানার থেকে বেশি।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)