উদ্বেগ: মাথাব্যথা এখন তেলই।
ভোট বড় বালাই। ভোট পেতে গুজরাতিদের জলখাবার খাকরার দাম কমাতে হয়। কমাতে হয় তেলের দামও!
জিএসটি কমিয়ে খাকরার দাম কমানোর ব্যবস্থা করেছিলেন অরুণ জেটলি। মঙ্গলবার গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপাণী পেট্রোল-ডিজেলে ৪% ভ্যাট কমিয়ে জ্বালানি সস্তা করার ব্যবস্থা করলেন। বছর শেষেই গুজরাতে ভোট। সে দিকে তাকিয়েই এই সিদ্ধান্ত। একই পথে হেঁটেছে বিজেপি শাসিত মহারাষ্ট্র। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি কেন্দ্র নিজেই লিটারে ২ টাকা উৎপাদন শুল্ক ছাঁটাই করেছে পেট্রোল-ডিজেলে। তারা চায়, একই পথে হাঁটুক রাজ্যগুলিও।
তবে বেঁকে বসেছে আর এক বিজেপি শাসিত রাজ্য ছত্তীসগঢ়। রমন সিংহের সরকার স্পষ্ট জানিয়েছে, তাদের পক্ষে রাজ্যের রাজস্ব ক্ষতি মেনে ভ্যাট কমানো অসম্ভব। নবান্ন সূত্রের খবর, এ কথা ভাবছে না পশ্চিমবঙ্গও। মাসে এই খাতে গড়ে ৫০০ কোটি টাকা আয় করে তারা। ওই সূত্রের দাবি, অনেক রাজ্যের তুলনায় ভ্যাট এ রাজ্যে কম। ডিজেলে ১৭%, পেট্রোলে ২৫%।
সব মিলিয়ে পেট্রোল-ডিজেলে ভ্যাট কমানো নিয়ে অধিকাংশ বিজেপি শাসিত রাজ্য, নীতীশ কুমারের মতো এনডিএ-শরিক এবং অ-বিজেপি রাজ্যগুলির সঙ্গে কেন্দ্রের মোদী সরকারের টানাপড়েন এখন তুঙ্গে।
৩ বছরে বিশ্ব বাজারে দাম কমার সুযোগে কেন্দ্র উৎপাদন শুল্ক বাড়িয়েছে। যার জেরেই দেশে দাম কমেনি বলে বিরোধীদের অভিযোগ। এ বার রাজ্যগুলিকেও ভ্যাট কমাতে আর্জি তাদের। কিন্তু ছত্তীসগঢ়ের অবস্থান থেকেই স্পষ্ট, সব বিজেপি রাজ্য সে পথে হাঁটতে নারাজ। অবশ্য বিজেপি নেতাদের ব্যাখ্যা, বিভিন্ন রাজ্যের নিজস্ব যুক্তি রয়েছে।
বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার বলেন, কেন্দ্র বরঞ্চ কর বাদ দিয়ে তেলের মূল দাম কমাক। পশ্চিমবঙ্গ, কেরল, ওডিশার যুক্তি, ভ্যাট লিটারে বসে না। তেলের দাম ও উৎপাদন শুল্ক মিলিয়ে যে-দর হয়, তাতে বসে। শুল্ক কমায় এমনিতেই আদায় মার খাচ্ছে। রাজ্যের আয় কমলে দায় নেবে কে? তেলমন্ত্রীর যুক্তি, কেন্দ্র যদি শুল্কে ক্ষতি মানতে পারে, তা হলে রাজ্যগুলিও চালিয়ে নিতে পারবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy