Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪
Business News

হলদিরামের ব্যবসা এ বার যৌথ মালিকানায়, বড় শেয়ার কিনছে কেলগ

‘হলদিরাম’-এর একটি সূত্রের খবর, এই ভাবে শেয়ারের একটি বড় অংশ বেচে দিয়ে কেলগ-এর সঙ্গে এ বার যৌথ মালিকানায় চালানো হবে ভুজিয়া ও মিষ্টির ব্যবসা।

—ফাইল ছবি।

—ফাইল ছবি।

সংবাদ সংস্থা
মুম্বই শেষ আপডেট: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ১৫:৩৭
Share: Save:

ভুজিয়া ও মিষ্টি ব্যবসায় দেশে অগ্রগণ্য প্রতিষ্ঠান ‘হলদিরাম’-এর শেয়ারের একটি বড় অংশ কিনছে মিশিগানের ‘কেলগ’। যে শেয়ারের মোট মূল্য ৩০০ কোটি ডলার বা ২১ হাজার কোটি টাকা। ‘হলদিরাম’-এর একটি সূত্রের খবর, এই ভাবে শেয়ারের একটি বড় অংশ বেচে দিয়ে কেলগ-এর সঙ্গে এ বার যৌথ মালিকানায় চালানো হবে ভুজিয়া ও মিষ্টির ব্যবসা।

ওই শেয়ার কেনাবেচার প্রক্রিয়া সম্পর্কে যাঁরা ওয়াকিবহাল, তাঁরা জানাচ্ছেন, হলদিরামের কোন ব্যবসা কোথায় কেলগ-এর সঙ্গে যৌথ মালিকানায় চলবে, সেটা খুব স্পষ্ট নয় এখনও। দেশে হলদিরামের ব্যবসা ছড়িয়ে রয়েছে দিল্লি, কলকাতা ও নাগপুরে। দিল্লিতে রয়েছে তাদের হলদিরাম স্ন্যাক্স। হলদিরাম ফুডস ইন্টারন্যাশনালের সদর দফতর রয়েছে নাগপুরে। কলকাতায় রয়েছে হলদিরাম ভুজিয়াওয়ালা। সবক’টিরই মালিক অগ্রবাল পরিবার।

কিন্তু নয়ের দশক থেকেই ফাটল ধরে অগ্রবাল পরিবারে। কলকাতা, নাগপুর ও দিল্লিতে হলদিরামের ব্যবসার মালিক ওই অগ্রবাল পরিবারের বিভিন্ন সদস্য। তাঁরা সকলেই অবশ্য গঙ্গাভূষণ ভুজিয়াওয়ালা (অগ্রবাল)-র বংশধর। যিনি ১৯৩৭ সালে রাজস্থানের বিকানেরে হলদিরামের ব্যবসা শুরু করেছিলেন। তাই হলদিরামের কোন মালিকানার ব্যবসার শেয়ার কিনছে কেলগ, তা এখনও স্পষ্ট হয়নি। জানা গিয়েছে, ওই শেয়ার কেনাবেচা হবে আন্তর্জাতিক জার্মান সংস্থা ডয়েশ ব্যাঙ্কের মাধ্যমে।

শেয়ার কেনাবেচার প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত একটি সূত্র জানাচ্ছে, ‘‘এটা ঠিক হয়েছে, হলদিরামের ব্যবসা এখন যে তিন মালিকের হাতে রয়েছে, তাঁরা ঐকমত্যে না পৌঁছলে কেলগ তার মেধাস্বত্ত্ব হস্তান্তর করবে না।’’

খবর, দিল্লির হলদিরাম স্ন্যাক্সের সঙ্গেও যৌথ মালিকানায় যেতে পারে কেলগ। কারণ, ব্রেকফাস্টের (প্রাতঃরাশ) খাবারের যে একটি আন্তর্জাতিক বাজার রয়েছে, এ বার সেখানে ঢুকতে চাইছে হলদিরাম স্ন্যাক্স।

আরও পড়ুন- এ বার মুদিখানার চালডালও বাড়ি পৌঁছে দেবে সুইগি​

আরও পড়ুন- ঘাটতি এড়াতে আগেই আমদানি​

শেয়ার কেনাবেচার প্রক্রিয়া সম্পর্কে অবশ্য সংবাদমাধ্যমের কাছে মুখ খুলতে চাননি হলদিরামের কোনও মালিকই। দিল্লির হলদিরাম স্ন্যাক্সের এমডি আশিস অগ্রবাল কিছু বলতে চাননি। নাগপুরের হলদিরাম ফুডস ইন্টারন্যাশনালের তরফে বলা হয়েছে, ‘‘কোনও গুজব বা জল্পনার ভিত্তিতে আমরা মন্তব্য করতে চাই না। এটাই আমাদের নীতি।’’

তবে ব্যবসার লাভালাভের নিরিখে গোষ্ঠীর তিনটি সংস্থার মধ্যে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে দিল্লির হলদিরাম স্ন্যাক্স। ২০১৮-র ৩১ মার্চ পর্যন্ত হলদিরাম স্ন্যাক্সের আয়ের পরিমাণ ২ হাজার ৬১৯ কোটি টাকা। নাগপুরের হলদিরাম ফুডস ইন্টারন্যাশনালের আয়ের পরিমাণ ওই সময় পর্যন্ত ছিল ২ হাজার ১৪৩ কোটি টাকা। আর ২০১৭-র ৩১ মার্চ পর্যন্ত কলকাতার হলদিরাম ভুজিয়াওয়ালার আয়ের পরিমাণ ছিল ৩২৪ কোটি টাকা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE