বার্তা: ফিকির সভায় অমিত মিত্র। বুধবার। নিজস্ব চিত্র
গত বিশ্ব বঙ্গ শিল্প সম্মেলনে এসে রাজ্যে প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহে লগ্নির প্রস্তাব দিয়েছিল মুম্বইয়ের হীরানন্দানি গোষ্ঠী। বুধবার তাদের সংস্থা এইচ এনার্জির ম্যানেজিং ডিরেক্টর দর্শন হীরানন্দানি জানালেন, পশ্চিমবঙ্গে আমদানি করা তরল প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) টার্মিনাল এবং তা জোগানোর জন্য পাইপলাইন গড়তে ৩,৭০০ কোটি টাকা ঢালছেন তাঁরা। ২০২০ সালে চালু হবে প্রকল্পটির প্রথম পর্যায়।
এ দিন বণিকসভা ফিকির অনুষ্ঠানে ভবিষ্যতে রাজ্যে গ্যাসের চাহিদা বৃদ্ধির কথা তুলে ধরেন অর্থ তথা শিল্পমন্ত্রী অমিত মিত্র। সেই সূত্রে এলএনজি, কোল-বেড মিথেনের (সিবিএম) পাশাপাশি বর্ধমানে শেল গ্যাসের সন্ধান পাওয়ার কথাও জানান। অমিতবাবু ও গ্রেট ইস্টার্ন এনার্জি কর্পোরেশনের কর্তা ওয়াই কে মোদীর আশা, আগামী দিনে শেল গ্যাসেও অন্তত ৫০ হাজার কোটি লগ্নির সম্ভাবনা রয়েছে।
রাজ্যে শিল্প, গৃহস্থালি ও পরিবহণে জ্বালানি হিসেবে প্রাকৃতিক গ্যাসের ব্যবহার আরও বাড়বে, এই আশায় বেশ কিছু সরকারি-বেসরকারি সংস্থা তা সরবরাহের জন্য লগ্নির কৌশল ছকছে রাজ্যে। সেই সম্ভাবনা খতিয়ে দেখতে এ দিন সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে নিয়ে আলোচনায় বসেছিল ফিকি ও রাজ্য সরকার। সেখানেই দর্শন জানান, কুকড়াহাটিতে ৪৭ একর জমিতে তাঁদের টার্মিনালটি তৈরি হবে। মালয়েশিয়া থেকে তরল প্রাকৃতিক গ্যাস আনার পরে ফের তাকে গ্যাসে রূপান্তরিত করে রাজ্যে তো ছড়ানো হবেই। পাঠানো হবে বাংলাদেশেও।
এ দিন ইস্পাত, পেট্রোকেমিক্যাল, ফাউন্ড্রির পাশাপাশি প্লাস্টিক, দামি পাথর ও গয়না এবং রবারের মতো শিল্পকেও জ্বালানি হিসেবে সস্তার প্রাকৃতিক গ্যাসের সুবিধা নিতে আর্জি জানান শিল্পমন্ত্রী। সেরামিক শিল্পের তরফে সমীর ঘোষ জানান, আগে রাজ্য এই শিল্পে অগ্রণী থাকলেও, প্রাকৃতিক গ্যাসের টানেই তার অনেকটা পাড়ি দিয়েছে গুজরাত, রাজস্থানে। তাই এ রাজ্যে সেই গ্যাসের জোগান পেলে উপকৃত হবে সেরামিকও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy