বিমা শিল্পে ১০০% প্রত্যক্ষ বিদেশি লগ্নির বিলে সায় দিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা, দাবি সূত্রের। আগে তা ছিল সর্বোচ্চ ৭৪%। পরের সপ্তাহের শুরুতে সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে পেশ হতে পারে ‘ইনশিয়োরেন্স লজ় (সংশোধনী) বিল ২০২৫’। গতবাজেটে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ওই প্রস্তাব পেশ করেছিলেন। লক্ষ্য দ্রুত বিমা শিল্পের প্রসার ঘটানো ও দেশের সবাইকে বিমার সুরক্ষা দেওয়া। তবে বিমা কর্মীদের সংগঠনের একাংশের দাবি, বিদেশি লগ্নিকারী সাধারণ মানুষের কথা ভাববেন না। তাই এর বিরোধিতা করবে তারা।
বিদেশি লগ্নিকারীরা ভারতের বিমা শিল্পে লগ্নি করতে চাইলে এ দেশের সংস্থার সঙ্গে জোট বাঁধতে হয়। নতুন ব্যবস্থায় তারা একাই সংস্থা খুলতে বা চালু সংস্থাকে কিনে নিতে পারবে। তবে গ্রাহকদের প্রিমিয়ামের পুরো টাকা লগ্নি করতে হবে ভারতে। প্রাইসওয়াটার হাউস কুপার্সের পার্টনার ও লিডার (বিমা) অমিত রায় বলেন, ‘‘বিমা শিল্পে প্রচুর মূলধন লাগে। বিদেশি লগ্নি সেই সমস্যা মিটিয়ে বিমার প্রসারে বড় ভূমিকা নেবে।’’ এইচডিএফসি-র এগ্জ়িকিউটিভ ডিরেক্টর পার্থনীল ঘোষের দাবি, সকলে বিমার সুবিধা পাবেন। বহু ক্ষেত্রে ক্ষতির সামান্য অংশ পূরণ হয় এ দেশে। কারণ, বিমা না করানো। বিদেশি পুঁজি বিমার প্রসার ঘটিয়ে ফাঁক ভরাতে পারে। এলআইসি-র প্রাক্তন আঞ্চলিক বিপণন কর্তা অরূপ দাশগুপ্তর কথায়, ‘‘পরিচালনায় দক্ষতা, বাজারে প্রকল্প এবং প্রতিযোগিতা বাড়বে। ’’
তবে তৃণমূল ট্রেড ইউনিয়ন কংগ্রেস অনুমোদিত ভারতীয় জীবন বিমা স্থায়ী কর্মচারী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অলোক দাসের অভিযোগ, এতে দেশবাসীর উপকার হবে কি না, সংশয় থাকছে। বিদেশি সংস্থা ব্যবসার লাভ নিজের দেশেই নিয়ে যাবে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)