ভারতে দু’চাকার বৈদ্যুতিক গাড়ির বাজারে পা রাখতে চলেছে হোন্ডা মোটরসাইকেল অ্যান্ড স্কুটার। সেই লক্ষ্যে কর্নাটকের কারখানায় আগামী অর্থবর্ষে পুরোপুরি এ ধরনের গাড়ি তৈরির জন্য আলাদা উৎপাদন কেন্দ্র গড়ছে সংস্থাটি। মোট লগ্নি স্পষ্ট না করলেও সংস্থার শীর্ষ-কর্তা জানিয়েছেন, তাঁদের লক্ষ্য ২০৩০ সালে বার্ষিক উৎপাদন ক্ষমতা ১০ লক্ষে নিয়ে যাওয়া।
জ্বালানির আমদানি খরচ ও দূষণ হ্রাসের লক্ষ্যে বৈদ্যুতিক গাড়িতে জোর দিচ্ছে কেন্দ্র। সংশ্লিষ্ট মহলের যদিও দাবি, যতটা আশা করা হয়েছিল, এখনও সহায়ক পরিবেশ তৈরি না হওয়ায় এই গাড়ির বাজার ততটা বাড়ছে না। হোন্ডার সিইও আৎসুশি ওগাতা অবশ্য দেশে বৈদ্যুতিক গাড়ির ক্ষেত্রে বড় পরিকল্পনারই ইঙ্গিত দিয়েছেন। এ জন্য কর্নাটকের নারসাপুরাতে পুরোদস্তুর কারখানা গড়ার পাশাপাশি ভারতেই ব্যাটারি-সহ অনুষঙ্গিক যন্ত্রাংশ তৈরি, চার্জিং স্টেশন বসানো, ব্যাটারি বদলেও গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলেছেন। জানিয়েছেন, সেখানে পরের বছর মার্চ থেকে উৎপাদন শুরু হবে। বাজারে প্রথম দু’টি গাড়িও আসবে সেই মাসে।
বৈদ্যুতিক গাড়ির ক্রেতাদের জন্য ‘বিদ্যুৎ’ নামে বিশেষ প্রকল্পও আনছে সংস্থা। এতে কিছু গাড়িতে যেমন স্থায়ী ব্যাটারি থাকবে, তেমনই কিছু গাড়িতে তা বদলেরও সুযোগ মিলবে। ওগাতা জানান, দেশে তাঁদের ৬০০০টি বিপণন কেন্দ্রে চার্জ দেওয়া ও ব্যাটারি বদলের পরিকাঠামো তৈরি হবে। পেট্রল পাম্প, মেট্রো স্টেশন ও অন্যান্য জায়গায় ব্যাটারি বদলের সুবিধা তৈরির বিষয়টি খতিয়ে দেখবে সংস্থা।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)