বেসরকারি আরবিএল ব্যাঙ্কের ৬০% অংশীদারি সংযুক্ত আরব আমিরশাহির দ্বিতীয় বৃহত্তম ব্যাঙ্ক এমিরেটস এনবিডি ব্যাঙ্ককে বিক্রির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে খবর। সম্প্রতি ভারতীয় ব্যাঙ্কটির পর্ষদ বৈঠকে এই সংক্রান্ত প্রস্তাবে সম্মতি মিলেছে। আজ এই বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করল কংগ্রেস। কেন এই ধরনের পদক্ষেপের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে তারা। বিরোধী দলটির বক্তব্য, এমন ‘হঠকারি’ সিদ্ধান্ত ভারতীয় অর্থ ব্যবস্থার সামনে ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। মোদী সরকারকে তারা মনে করিয়ে দিয়েছে, ১৬৬৯ সালের জুলাইয়ে ১৪টি বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কের জাতীয়করণ হলেও কেন্দ্র বিদেশি ব্যাঙ্কগুলির জাতীয়করণ না করায় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সমালোচনা করেছিল জন সঙ্ঘ। যা ছিল সেই সময়ে আরএসএসের রাজনৈতিক শাখা।
আরবিএল ব্যাঙ্কের প্রস্তাব কার্যকর হলে ২৬,৮৫৩ কোটি টাকা খরচ করে তার বৃহত্তর অংশীদারি হাতে নিতে পারে এমিরটস এনবিডি ব্যাঙ্ক। সে ক্ষেত্রে তা হবে ভারতের আর্থিক ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ। আজ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ এক্স-এ লিখেছেন, ‘‘বিদেশি সংস্থাগুলিকে ধীরে ধীরে ভারতীয় ব্যাঙ্ক অধিগ্রহণের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। এই ধরনের হঠকারি পদক্ষেপ বড় ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।’’ রমেশ মনে করিয়ে দেন, এর আগে সিঙ্গাপুরের ডিবিএস গোষ্ঠী লক্ষ্মীবিলাস ব্যাঙ্ক অধিগ্রহণ করেছিল। ক্যাথলিক সিরিয়ান ব্যাঙ্ককে হাতে নিয়েছিল কানাডার ফেয়ারফ্যাক্স। জাপানের সুমিটোমো মিতসুই ব্যাঙ্কিং কোর্পোরেশন ইয়েস ব্যাঙ্কে ১৬,৩৩৩ কোটি টাকা ঢালে। এর পরের ধাপে আইডিবিআই ব্যাঙ্কের সম্পূর্ণ বেসরকারিকরণ হতে চলেছে। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের ক্ষেত্রে প্রথম বার এমন ঘটবে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)