জিএসটি-র আওতায় কর ফাঁকি রুখতে আরও কঠোর হচ্ছে কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় পরোক্ষ কর পর্ষদ জানিয়েছে, এখন থেকে করদাতার বিক্রির রিটার্নের (জিএসটি-১ ফর্মে) সঙ্গে সরবরাহকারীর দাখিল করা রিটার্নের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ফারাক বা গোলমাল থাকলে সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের নথিভুক্তি বরখাস্ত বা বাতিল করতে পারবেন জিএসটি অফিসারেররা। এ জন্য কার্যাবলী (স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিয়োর) তৈরি করেছে পর্ষদ। যার আওতায় জিএসটি আরইজি-৩১ ফর্মে সংশ্লিষ্ট করদাতার কাছে নথিভুক্তি বাতিলের কারণ জানিয়ে ই-মেল পাঠানো হবে।
উল্লেখ্য, নতুন এই পরোক্ষ কর ব্যবস্থায় কর ফাঁকি নিয়ে বহু দিন ধরেই কেন্দ্রের দিকে তোপ দাগছেন বিরোধীরা। ব্যবসায়ীরাও জিএসটির বিভিন্ন দিক নিয়ে আপত্তি তুলেছেন। চলতি মাসের শেষের দিকে ধর্মঘটের হুমকিও দিয়েছেন তাঁরা। এই পরিস্থিতি রাজস্ব ক্ষতি আটকাতে আরও কঠোর হওয়ার দাবি করেছে সরকার। বিশেষজ্ঞদের মতে, তারই আওতায় নতুন এই ব্যবস্থা আনা হয়েছে।
কার্যাবলীতে বলা হয়েছে, করদাতা জিএসটি-র কমন পোর্টালে লগ-ইন করে তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ এবং নথিভুক্তি বাতিলের কারণ দেখতে পারবেন। যাঁদের নথিভুক্তি খারিজ হবে, কমন পোর্টালের মাধ্যমে নোটিস পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে ওই ফারাক বা গোলমালের বিষয়ে তাঁদের বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিতে হবে সংশ্লিষ্ট কর অফিসারের কাছে। জানাতে হবে, কেন তাঁদের নথিভুক্তি বাতিল করা হবে না। যদি রিটার্ন জমা না-দেওয়ার কারণে নথিভুক্তি বাতিল করা হয়, তা হলে পুরনো রিটার্ন জমা দিয়ে তার জবাব দেওয়া যাবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy