আয়করে সুরাহা এবং সুদ ছাঁটাই— সরকার এবং রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের জোড়া দাওয়াইয়ে বাড়ি, গাড়ির বিক্রি একটু হলেও মাথা তোলার প্রত্যাশায় বুক বাঁধছে ওই দুই শিল্প। তবে সংশ্লিষ্ট মহলের বেশির ভাগই মনে করছে, শুক্রবার রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের ২৫ বেসিস পয়েন্ট সুদ কমানোর (রেপো রেট, যে সুদ ব্যাঙ্কগুলিকে ধার দেয় আরবিআই) প্রভাব বাস্তবে হবে সামান্য। আরও খানিকটা সুদ কমানোর জায়গা রয়েছে। পুরোটার সদ্ব্যবহার হলে বাড়ি-গাড়ির মতো দামি জিনিস কেনার আগ্রহ বাড়তে পারে। যদিও এ দিন সেই প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য শীর্ষ ব্যাঙ্ককে সাধুবাদ দিচ্ছে সকলেই।
আবাসনের সংগঠন ক্রেডাই-এর সর্বভারতীয় সভাপতি বোমান ইরানি বলেন, ‘‘আবাসনে এ দিনের সুদ কমানোর প্রভাব হবে সীমিত।’’ তিনি আগামী দিনে তা আরও কমানোর দাবি জানিয়েছেন। সংগঠনের পশ্চিমবঙ্গ বিষয়ক সভাপতি সুশীল মোহতারও বার্তা, ‘‘সুদ কমেছে ভাল খবর। কিন্তু আরও ছাঁটাইয়ের জায়গা রয়েছে। এপ্রিলের ঋণনীতি বৈঠকে সেটা হলে বাড়ি বিক্রিতে তার সুফল চোখে পড়বে।’’ আবাসন সংক্রান্ত জাতীয় পরিষদ নারেডকো-র সভাপতি জি হরি বাবুর অভিমত, ‘‘আরবিআই যতটুকু কমিয়েছে বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলিও ততটুকুই কমাবে, এটা নিশ্চিত ভাবে বলা যাচ্ছে না। ফলে শেষ পর্যন্ত গ্রাহকের দরজায় সুবিধা পৌঁছতে পারে আরও কম। তাই আরবিআই ৫০-৭৫ বেসিস পয়েন্ট পর্যন্ত সুদ কমালে স্বস্তি পাবেন আবাসনের ক্রেতা। লাভ দেখবে শিল্পও।’’ অম্বুজা নেওটিয়া গোষ্ঠীর কর্ণধার হর্ষবর্ধন নেওটিয়ার দাবি, ‘‘বাজেটের পরে ঋণনীতির পদক্ষেপ অবশ্যই আবাসনের চাহিদা বাড়াবে। তবে ঋণের ক্ষেত্রে সুদের হার কতটা কমে তার উপর অনেক কিছু নির্ভর করছে।’’
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)