E-Paper

ডিজিটাল তথ্য জেনে যাওয়ার অভিযোগ, ব্যাখ্যা কর্তার

কিছু আয়কর হানা ‘সার্চ অ্যান্ড সিজ়র’ অথবা ‘সার্চ অ্যান্ড সার্ভে’ শ্রেণিতে পড়ে। এতে করদাতাকে না জানিয়ে তাঁর বাড়ি, দফতর, দোকান ইত্যাদি স্থানে গিয়ে অফিসারেরা তল্লাশি চালান, নথি বাজেয়াপ্ত করেন।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১১ মার্চ ২০২৫ ০৯:২৩
—প্রতীকী চিত্র।

—প্রতীকী চিত্র।

নতুন আয়কর আইন অনুযায়ী কেন্দ্রীয় কর আধিকারিকেরা করদাতার ডিজিটাল মাধ্যমের তথ্য জানতে উদ্যোগী হতে পারেন বলে জানা গিয়েছিল। সে জন্য অনুমতি বা ‘পাসওয়ার্ড’-ও লাগবে না। ডিজিটাল মাধ্যম বলতে কম্পিউটার, ই-মেল, ওয়টস্যাপ, ক্লাউড স্টোরেজ, সমাজমাধ্যম ইত্যাদিকে বোঝায়। সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, এতে করদাতার ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশ হয়ে যাওয়ার আতঙ্ক ছড়ায়। অভিযোগ ওঠে, ব্যক্তিগত অধিকারে সরকারি হস্তক্ষেপের পথ তৈরির। সোমবার তড়িঘড়ি আয়কর দফতরের এক কর্তার ব্যাখ্যা, শুধু তল্লাশি (সার্চ) বা নথি বাজেয়াপ্তের (সার্ভে) সময়েই এই বাড়তি ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারবেন আয়কর দফতরের অফিসারেরা। এমনকি রিটার্ন খতিয়ে দেখতে (স্ক্রুটিনি) হলেও নয়।

কিছু আয়কর হানা ‘সার্চ অ্যান্ড সিজ়র’ অথবা ‘সার্চ অ্যান্ড সার্ভে’ শ্রেণিতে পড়ে। এতে করদাতাকে না জানিয়ে তাঁর বাড়ি, দফতর, দোকান ইত্যাদি স্থানে গিয়ে অফিসারেরা তল্লাশি চালান, নথি বাজেয়াপ্ত করেন। ১৯৬১-র আয়কর আইনের ১৩২ ধারাতেও তাঁদের ওই ক্ষমতা আছে। ওই আয়কর কর্তার দাবি, বছরভর এমন ১০০-১৫০টি হানা দেন।

তাঁর বার্তা, অনুমতি ছাড়া যখন-তখন করদাতার ডিজিটাল তথ্য দেখা হবে, এটা ঠিক নয়। তল্লাশি বা বাজেয়াপ্তের সময় কেউ তথ্য দিয়ে সাহায্য না করলে তা করতে হতে পারে। আতঙ্ক ছড়াতে কিছু মহল এমন ভুল তথ্য রটাচ্ছে। তিনি বলেন, ‘‘নেট মারফত কর-তথ্য লুকনোর নয়া পন্থা নিচ্ছেন অসাধু ব্যক্তিরা। তাঁরা তদন্তে সাহায্য করেন না। পাসওয়ার্ড দেন না। আয়কর দফতরকে ফাঁকি দিতে বিদেশের সার্ভারে তথ্য রাখেন। তথ্য না পেলে করফাঁকি ধরাও যায় না।

সংবাদ সংস্থা

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Income Tax Digital Medium

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy