শুরু হয়েছে ২০২৪-’২৫ আর্থিক বছরের আয়কর রিটার্ন (পড়ুন ইনকাম ট্যাক্স রিটার্ন বা আইটি রিটার্ন) জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া। রবিবার, ১৫ জুন থেকে এই নথি জমা করতে পারবেন সরকারি এবং বেসরকারি সংস্থার বেতনভোগী কর্মীরা। এর জন্য ফর্ম-১৬ প্রয়োজন হবে তাঁদের। চলতি বছর সংশ্লিষ্ট ফর্মটিতে একগুচ্ছ বদল আনল কেন্দ্র। আনন্দবাজার ডট কমের এই প্রতিবেদনে রইল তার হদিস।
বিশেষজ্ঞদের দাবি, আগে বেতনভোগী কর্মীরা তাঁদের নিয়োগকারী সংস্থার কাছে বেতন বাদে অন্যান্য আয়র কথা জানাতে পারতেন। কিন্তু সংশ্লিষ্ট সংস্থার সেখান থেকে অতিরিক্ত টিডিএস (ট্যাক্স ডিডাকটেড অ্যাট সোর্স) কেটে নেওয়ার কোনও অধিকার ছিল না। নতুন নিয়মে একজন কর্মীর অন্যান্য আয়, সেই সম্পর্কিত কর এবং টিডিএসের তথ্য ফর্ম-১৬-এ উল্লেখ থাকবে। ফলে আয়কর রিটার্ন জমা করা অনেক বেশি সহজ হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
বর্তমানে দেশে দু’টি কর কাঠামো চালু রয়েছে। সেগুলি হল, নতুন এবং পুরনো কর ব্যবস্থা। নতুনের সঙ্গে পুরনো কাঠামোর কর ছাড়ের অনেক পার্থক্য রয়েছে। এ বছরের ফর্ম-১৬-এ সেই তথ্য সুস্পষ্ট ভাবে উল্লেখ থাকবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক। বেতনভোগী কর্মীদের অনেকেই ন্যাশনাল পেনশন স্কিম বা এনপিএসে লগ্নি করেছেন। এই সঞ্চয় প্রকল্পে কত টাকা করে জমা হচ্ছে, সেই তথ্যও সংশ্লিষ্ট ফর্ম থেকে পাওয়া যাবে বলে জানা গিয়েছে।
উল্লেখ্য, ফর্ম-১৬ দু’টি অংশে বিভক্ত। এর পার্ট-এ অংশে থাকে টিডিএসের বিবরণ। দ্বিতীয় ভাগ অর্থাৎ পার্ট-বি থেকে বেতন এবং আয়করের ৮০সি ও ৮০ডি ধারা অনুযায়ী কী কী ছাড় মিলবে তা জানতে পারবেন করদাতা। কেন্দ্রের তরফে নিয়োগকারী সংস্থাগুলিকে বাধ্যতামূলক ভাবে বেতনভোগী কর্মীদের মধ্যে ফর্ম-১৬ বিলি করতে বলা হয়েছে। চলতি বছরে আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার সময়সীমা ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বৃদ্ধি করেছে কেন্দ্র।