আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রুশ তেল কেনার শাস্তি দিতেই ভারতে ৫০% শুল্ক চাপিয়েছিলেন। তার পরে কখনও তা বাড়ানোর হুমকি দিয়েছেন, কখনও বা ভারতের তরফে তেল কেনা বন্ধের আশ্বাস পাওয়ার কথা বলেছেন। এ দেশ সেই পথে হাঁটছে জানিয়ে সম্প্রতি দ্রুত বাণিজ্য চুক্তি করা ও শুল্ক কমানোর বার্তাও দিয়েছেন। এই অবস্থায় ২১ নভেম্বর থেকে রাশিয়ার তেল সংস্থা রসনেফ্ট ও লুকঅয়েলের উপর বসবে ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞা। তথ্য বলেছে, তার আগে শুধু অক্টোবরেই মস্কোর তেল কিনতে ২৫০ কোটি ইউরো (প্রায় ২৬,২৫০ কোটি টাকা) খরচ করেছে ভারত। উপদেষ্টা সিইআরএ-র দাবি, সেপ্টেম্বরে একই মূল্যের আমদানি হয়েছিল। তবে গত মাসেপরিমাণে ১১% বেশি কিনেছে দেশীয় সংস্থাগুলি। ফলে ভারত এখনও রুশ তেলের দ্বিতীয় বৃহত্তম বাজার।
সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, রাশিয়ার সংস্থা দু’টির উপর নিষেধাজ্ঞা বসলেই সেখান থেকে তেল কেনা কমবে। তাই বেশি করে কিনে রাখছে ভারত। এখন এ দেশে আমদানি হওয়া তেলের এক তৃতীয়ংশই রাশিয়ার। এ বছরদিনে গড়ে আমদানি হওয়া প্রায় ১৮ লক্ষ ব্যারেলের ১২ লক্ষই রসনেফ্ট ও লুকঅয়েলের। জানুয়ারি-জুনে সে দেশথেকে অর্ধেকের বেশি তেল কিনেছে রিলায়্যান্স ইন্ডাস্ট্রিজ়, এইচপিসিএল-মিত্তল এনার্জি, ম্যাঙ্গালোর রিফাইনারি অ্যান্ড পেট্রোকেম। বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, তারাই নিষেধাজ্ঞার আঁচ সবচেয়ে বেশি টের পাবে।
সিইআরএ জানাচ্ছে, গত মাসে রাশিয়া থেকে ৬ কোটি ব্যারেল তেল কিনেছে ভারত। তার ৪.৫ কোটি রসনেফ্ট ও লুকঅয়েলের। কিনেছে ৩৫.১ কোটি ইউরোর (প্রায় ৩৬৮৫.৫ কোটি টাকা) কয়লা ও ২২.২ কোটি ইউরোর (প্রায় ২৩৩১ কোটি টাকা) পেট্রোপণ্যও। একাংশ মনে করাচ্ছে, নিষেধাজ্ঞা বসলে সংস্থা দু’টির থেকে তেল কেনা সহজ হবে না। ফলে কমতে পারে আমদানি। পারে। রিলায়্যান্স-সহ কিছু সংস্থা কমানোর কথা বলেওছে। তা কতটা কমে, নজর এখন সে দিকেই।
আমদানি
গত মাসে প্রায় ২৬,২৫০ কোটি টাকার রুশ তেল কিনেছে ভারত।
সেপ্টেম্বরের থেকে আমদানি ১১% বেশি।
২১ নভেম্বর রাশিয়ার তেল সংস্থা রসনেফ্ট ও লুকঅয়েলের উপর বসবে আমেরিকার নিষেধাজ্ঞা।
ওই দুই সংস্থার থেকেই বেশির ভাগ তেল কেনে দেশীয় তেল সংস্থাগুলি।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)