E-Paper

মাথাপিছু জিডিপি-তে অনেক পিছিয়ে ভারত, অর্থনীতিতে এগোলেও তাই আত্মতুষ্টির জায়গা নেই

মাথাপিছু জিডিপি-র হিসাবে জাপান এখনও ভারতের থেকে বহুগুণ এগিয়ে। দেশের সামগ্রিক অর্থনীতির কলেবর বৃদ্ধির পাশাপাশি, এই ক্ষেত্রেও ভারতকে উন্নতি করতে হবে।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ০৯ জুন ২০২৫ ০৭:১৪
এপ্রিলে আইএমএফের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ভারতের মাথাপিছু বার্ষিক জিডিপি ২৮৭৮.৪ ডলার (প্রায় ২,৪৪,৬৬৪ টাকা)।

এপ্রিলে আইএমএফের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ভারতের মাথাপিছু বার্ষিক জিডিপি ২৮৭৮.৪ ডলার (প্রায় ২,৪৪,৬৬৪ টাকা)। —প্রতীকী চিত্র।

সম্প্রতি জাপানকে পিছনে ফেলে বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতি হিসেবে উঠে আসার দাবি করেছে ভারত। যদিও আন্তর্জাতিক অর্থ ভান্ডার (আইএমএফ) এখনও সেই দাবিকে স্বীকৃতি দেয়নি। এই পরিস্থিতিতে ওয়ার্ল্ড ইকনমিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) প্রাক্তন ম্যানেজিং ডিরেক্টর ক্লদ স্মাদজ়ার বক্তব্য, আজ না হয় কাল নিশ্চিত ভাবেই জাপানের জিডিপি-কে ছাপিয়ে যেতে চলেছে ভারত। কিন্তু তাতে আত্মতুষ্টির কোনও জায়গা নেই। কারণ, মাথাপিছু জিডিপি-র হিসাবে জাপান এখনও ভারতের থেকে বহুগুণ এগিয়ে। দেশের সামগ্রিক অর্থনীতির কলেবর বৃদ্ধির পাশাপাশি, এই ক্ষেত্রেও ভারতকে উন্নতি করতে হবে। আর সে জন্য অর্থনীতির অগ্রগতি অব্যাহত রাখতে প্রযুক্তি উদ্ভাবন এবং উৎপাদন শিল্পে জোর দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

এ বছরের এপ্রিলে আইএমএফের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ভারতের মাথাপিছু বার্ষিক জিডিপি ২৮৭৮.৪ ডলার (প্রায় ২,৪৪,৬৬৪ টাকা)। জাপানের সেখানে ৩৩,৯৫৫.৭ ডলার (প্রায় ২৮,৮৬,১৭৫ টাকা)। অর্থাৎ, এই মাপকাঠিতে জাপান ভারতের চেয়ে ১১.৮ গুণ এগিয়ে।

আজ এক সাক্ষাৎকারে স্মাদজ়া বলেছেন, ‘‘অর্থনীতির কলেবর দরকারি মাপকাঠি। বিশ্ব অর্থনীতির নিরিখে কোনও দেশের অর্থ ব্যবস্থার ওজন কতটা, সে সম্পর্কে ধারণা এর সাহায্যে পাওয়া যায়। কিন্তু আসল বিষয় হল মাথাপিছু জিডিপি। সে দিক থেকে জাপানের থেকে ভারত অনেকটা পিছিয়ে। ফলে ভারত জিডিপি-র নিরিখে চতুর্থ স্থানে উঠে এল কি না, তা সামগ্রিক অগ্রগতি পরিমাপের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয়। কিন্তু এই নিয়ে আত্মতুষ্টির কোনও কারণ নেই।’’ তবে স্মাদজ়া ভারতের চলতি আর্থিক নীতির প্রশংসা করেছেন। জানিয়েছেন, তা সংস্কারে গতি আনবে। যা মধ্যবিত্ত-সহ সমস্ত শ্রেণির মানুষের জীবনযাত্রার উন্নতিতে সাহায্য করবে।

ডিজিটাল অর্থনীতির পথে পা রেখেছে দেশ। ইন্টারনেটের ব্যবহার এখন সর্বত্র। তার মাধ্যমে তৈরি হচ্ছে বিপুল পরিমাণ তথ্য (ডেটা)। আধার ব্যবস্থার ফলে তার গতি বেড়েছে। এই বিপুল তথ্যই আগামী দিনের প্রযুক্তি উন্নয়নে ভারতের প্রধান অস্ত্র বলে জানিয়েছেন প্রাক্তন ডব্লিউইএফ কর্তা। তবে তাঁর সতর্কবার্তা, তা রাখতে হবে আমেরিকা-সহ উন্নত পশ্চিম বিশ্বের নাগালের বাইরে। চিন এবং ইউরোপ ইতিমধ্যেই নিজেদের তথ্যের নিরাপত্তা জোরদার করেছে। এর পাশাপাশি, নতুন প্রযুক্তি সংস্থা (স্টার্ট-আপ) এবং উৎপাদন ক্ষেত্রকে বাড়তি উৎসাহ দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন স্মাদজ়া। জানিয়েছেন, জিডিপি-তে বাড়াতে হবে উৎপাদন ক্ষেত্রের অংশীদারি।

ভারতে নতুন প্রযুক্তি সংস্থার উন্নতি এবং উদ্ভাবনের পরিবেশ রয়েছে। দরকার নীতিগত সাহায্য। এ দেশের কর্পোরেট সংস্থাগুলির মূল প্রবণতা প্রযুক্তি কেনা। তারা গবেষণা ও উন্নয়নে জোর বাড়াক।

_ ক্লদ স্মাদজ়া

প্রাক্তন ডব্লিউইএফ কর্তা


(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Economy GDP

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy