বৈঠকে নরেন্দ্র মোদী।—ছবি পিটিআই।
বিদেশি বিনিয়োগের মাঠে করোনা চিনের ‘সর্বনাশ’ ডেকে আনলে, তাকে ভারতের ‘পৌষ মাস’ করতে চান নরেন্দ্র মোদী। তাই লকডাউনের পরে অর্থনীতিতে প্রাণ ফেরাতে দেশীয় সংস্থার লগ্নির পাশাপাশি বিদেশি বিনিয়োগ টানাকেও পাখির চোখ করছে তাঁর সরকার। বিশেষত লক্ষ্য, করোনা-আতঙ্কের পরে যে সমস্ত বহুজাতিক চিন থেকে পাততাড়ি গোটাতে আগ্রহী, তাদের ভারতে টেনে আনা। বৃহস্পতিবার অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন, বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গয়ালের সঙ্গে এ বিষয়ে বৈঠক করলেন প্রধানমন্ত্রী। এ দিন তিনি আরও দু’টি বৈঠক করেছেন কয়লা ও খনি এবং প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রের সংস্কার নিয়ে।
প্রধানমন্ত্রীর দফতরের বিবৃতি অনুযায়ী, মোদী মনে করেন, লকডাউনের পরে অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে প্রয়োজন বেসরকারি এবং বিদেশি লগ্নি টানা। দেখতে হবে যাতে কেন্দ্র কিংবা রাজ্যের কাছে অনুমতি, শংসাপত্রের অভাবে লগ্নি আটকে না-থাকে। সরকারের হাতে থাকা জমি-ব্যাঙ্ক, শিল্প-পার্ক, শিল্প-তালুকে সহজে কী ভাবে জমি দেওয়া যায়, সে বিষয়ে এ দিন আলোচনা হয়েছে। কথা হয়েছে শিল্পকে আর্থিক সহায়তা জোগানো প্রসঙ্গে। উত্তরপ্রদেশের মন্ত্রী সিদ্ধার্থনাথ সিংহের দাবি, “মার্কিন, ইউরোপীয়, দক্ষিণ কোরীয়, জাপানি বহুজাতিকগুলির আমাদের রাজ্যে লগ্নির শর্ত কী, তা কথা বলে বোঝার চেষ্টা করছি। এ জন্য বিশেষ কমিটি গড়া হয়েছে।”
সুযোগ যে রয়েছে, তা বলেছেন কৌশিক বসুর মতো অর্থনীতিবিদেরাও। কিন্তু জমি-জট, লাল ফিতের ফাঁসের পাশাপাশি প্রলম্বিত লকডাউন যে সেই সম্ভাবনাকে ক্রমশ ফিকে করবে, তা-ও মনে করিয়ে দিয়েছেন তাঁরা। কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কৌশিক বসুর কথায়, করোনা-কাণ্ডের পরে যে সব বহুজাতিক চিন থেকে পাততাড়ি গুটিয়ে অন্য দেশে তাঁবু ফেলার কথা ভাবছে, তাদের পছন্দের গন্তব্যে মেক্সিকো, ভিয়েতনাম, তাইল্যান্ডের মতো দেশ থাকলেও, ভারত এখনও নেই। তাই সংস্কারের মন্ত্রে বিনিয়োগের পথে চিরাচরিত বাধা দূর করার পাশাপাশি নিখুঁত হিসেব কষে দ্রুত লকডাউন তুলতে পারলে তবেই তা সম্ভব বলে তাঁদের দাবি।
আরও পড়ুন: কর্মীদের বেতন ছাঁটছে রিলায়্যান্সও
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy