Advertisement
২৩ এপ্রিল ২০২৪
ইয়েমেনে বিমান হামলার জের

ধস বাজারে, সূচক ফের ২৭ হাজারের ঘরে

টানা পতনের মাঝে বৃহস্পতিবার ধস নামল শেয়ার বাজারে। এক ধাক্কায় সেনসেক্স পড়ে গেল ৬৫৪.২৫ পয়েন্ট। ফলে সূচক ফের নেমে এল ২৭ হাজারের ঘরে। এ দিন বাজার বন্ধের সময়ে সেনসেক্স থিতু হয় ২৭৪৫৭.৫৮ অঙ্কে। বড় পতন হয়েছে টাকার দামেও। ডলারের সাপেক্ষে তা ৩৪ পয়সা পড়েছে। এক ডলার দাঁড়িয়েছে ৬২.৬৭ টাকায়।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৭ মার্চ ২০১৫ ০৩:৪৩
Share: Save:

টানা পতনের মাঝে বৃহস্পতিবার ধস নামল শেয়ার বাজারে। এক ধাক্কায় সেনসেক্স পড়ে গেল ৬৫৪.২৫ পয়েন্ট। ফলে সূচক ফের নেমে এল ২৭ হাজারের ঘরে। এ দিন বাজার বন্ধের সময়ে সেনসেক্স থিতু হয় ২৭৪৫৭.৫৮ অঙ্কে। বড় পতন হয়েছে টাকার দামেও। ডলারের সাপেক্ষে তা ৩৪ পয়সা পড়েছে। এক ডলার দাঁড়িয়েছে ৬২.৬৭ টাকায়।

এ দিনের পতনের জন্য পশ্চিম এশিয়ায় যুদ্ধ পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়াকেই মূলত দায়ী করছে শেয়ার বাজার মহল, যার প্রভাবে বিশ্ব বাজারে অশোধিত তেলের দাম এক ধাক্কায় বেড়ে গিয়েছে ৪ শতাংশেরও বেশি। ব্রিটেনের বাজারে ব্রেন্টের দর ছুঁয়েছে ব্যারেলে প্রায় ৫৯ ডলার। ইয়েমেনের সরকার পক্ষের হয়ে লড়াইয়ে সৌদি আরব সে দেশের উপর বিমান হানা শুরু করায় এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে বলে বাজার সূত্রের খবর। ইয়েমেনে ইরানের সমর্থনপুষ্ট হুথি বিদ্রোহীদের শায়েস্তা করতেই এই বিমান হানা বলে জানিয়েছে সৌদি আরর। এই অভিযানে সৌদি আরবের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে উরপসাগরীয় অঞ্চলের অন্যান্য দেশও। আর এই ঘটনার জেরেই আন্তর্জাতিক বাজারে বেড়ে গিয়েছে অশোধিত তেলের দাম। এ দিন এশিয়া এবং ইউরোপ-সহ আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে অধিকাংশ শেয়ার সূচকেরই মুখ ছিল নীচের দিকে।

ভারতে শেয়ার বাজার অবশ্য গত সাত দিন ধরেই টানা পড়ছে। এ দিন নিয়ে ওই সাত দিনে সেনসেক্স পড়েছে ১২৭৮ পয়েন্ট।

এখন প্রশ্ন, বাজারের পতন এখানেই থামবে কি না। বাজার বিশেষজ্ঞদের মধ্যে কিন্তু অনেকেরই ধারণা, সূচক আরও বেশ খানিকটা পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ তাঁদের মতে, বাজারের সংশোধন এখনও সম্পূর্ণ হয়নি। বাজার বিশেষজ্ঞ এবং ক্যালকাটা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রাক্তন ডিরেক্টর এস কে কৌশিক বলেন, ‘‘সেনসেক্স ২৩ হাজারে নেমে গেলেও আমি অবাক হব না।’’

কেন বাজারের আরও পতন আশঙ্কা করেছেন বিশেষজ্ঞরা?

বাজারে পতনের ব্যাপারে যে-বিষয়টি বিশেষজ্ঞদের সব থেকে বেশি ভাবাচ্ছে, তা হল আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের মূল্যবৃদ্ধি। বাজার বিশেষজ্ঞ কমল পারেখ বলেন, ‘‘হালে দেশের আর্থিক অবস্থার যতটুকু উন্নতি হয়েছে, তা প্রধানত ঘটেছে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমার হাত ধরে। এ বার যদি তেলের দাম ফের বাড়তে থাকে, তা হলে তার বিরূপ প্রভাব দেশের আর্থিক ক্ষেত্রে পড়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। যার আঁচ থেকে শেয়ার বাজারের রেহাই পাওয়া মুশকিল।’’

এই পরিস্থিতিতে সাধারণ ক্ষুদ্র লগ্নিকারীদের কী করা উচিত? বাজারের সংশোধনের গতি অনুধাবন করে কৌশিকের মতো বিশেষজ্ঞদের ধারণা, ‘‘বতর্মান পরিস্থিতিতে এ বার মাঝারি মূলধনের সংস্থাগুলির শেয়ার দর বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কৌশিক বলেন, ‘‘বেশি দামের শেয়ারের তুলনায় মাঝারি মূলধনের সংস্থগুলির শেয়ার দর বেশি মাত্রায় পড়েছে। আমার ধারণা, এ বার ওই সব সংস্থার শেয়ার দর বৃদ্ধি পাওয়ার ভাল সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। তাই সাধারণ ক্ষুদ্র লগ্নিকারীরা ইচ্ছা করলে ওই সব শেয়ারে লগ্নি করতে পারেন। অন্যথায় শেয়ারে লগ্নি করা থেকে তাঁদের কিছু দিন দূরে থাকাই শ্রেয়।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE