Advertisement
১১ মে ২০২৪
Tax

চড়া করের ধাক্কা চাহিদায়, দাবি সমীক্ষায়

আগামী দিনেও চাহিদায় গতি ফেরা এবং বাজারে বিক্রিবাটা বাড়া শক্ত বলে মনে করছে সংস্থাটি।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৯ জুন ২০২১ ০৫:২৫
Share: Save:

তেলের চড়া শুল্ক-সহ পরোক্ষ করের হাত ধরে দেশের মানুষের বোঝা বাড়ছে। এতটাই যে তা ধাক্কা দিচ্ছে গৃহস্থের চাহিদায়। মঙ্গলবার এ কথা জানিয়ে মূল্যায়ন সংস্থা ইন্ডিয়া রেটিংসের বক্তব্য, কর্পোরেট কর কমার সুবিধা পাচ্ছে সংস্থাগুলি। কিন্তু সাধারণ মানুষের হাতে করের দিক থেকে সে রকম কোনও সুরাহা পৌঁছে দেওয়া হয়নি। ফলে এক দিকে যখন চাকরির বাজারে অনিশ্চয়তা ও বেতন ছাঁটাইয়ের মধ্যেও সংসার চালিয়ে করোনা সংক্রমণের চিকিৎসার পিছনে খরচ করতে হচ্ছে, তখনই বেশি করের হারের বোঝায় ধুঁকছেন তাঁরা। সব মিলিয়ে ২০০৯-১০ সালের ৬০ শতাংশের তুলনায় এখন সাধারণ গৃহস্থ পরিবারের মোট করের বোঝা ৭৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে বলেও জানাচ্ছে তারা। এমনকি এর জেরে আগামী দিনেও চাহিদায় গতি ফেরা এবং বাজারে বিক্রিবাটা বাড়া শক্ত বলে মনে করছে সংস্থাটি।

ইন্ডিয়া রেটিংসের মতে, ভারতে আয়ের অঙ্ক অনুসারে প্রত্যক্ষ করের হার স্থির হয়। কিন্তু পরোক্ষ করে সে রকম সুবিধা নেই। ফলে বোঝা বেশি চাপে দরিদ্রদের উপরে। তা ছাড়া চাকরি তৈরি এবং বিদেশি লগ্নি টানার যুক্তিতে কর্পোরেট সংস্থাগুলির জন্য করের হারে সংশোধন করা হয়েছে। কিন্তু দেশে পেট্রল-ডিজেলের মতো পণ্যে চড়া শুল্কের জেরে বাড়ছে জিনিসপত্রের দাম। যার বিরূপ প্রভাব পড়ছে আমজনতার উপরে।

প্রায় ২০০০ কর্পোরেট সংস্থার বেতন ও মজুরি নিয়ে করা ইন্ডিয়া রেটিংসের সমীক্ষা বলছে, এর মধ্যে ৬০% সংস্থাই গত অর্থবর্ষে কর্মী খাতে খরচ কমিয়েছে। ফলে কমেছে রোজগার, গিয়েছে চাকরি। এই পরিস্থিতিতে শুধু সংসার, চিকিৎসার মতো অত্যাবশ্যক খরচই করছেন মানুষ। জোর দিচ্ছেন হাতে টাকা ধরে রাখায়। দূরে থাকছেন অত্যাবশ্যক নয় এমন জিনিস কেনা থেকে। রেটিং সংস্থাটির মতে, এটাও চাহিদায় ধাক্কা দেওয়ার অন্যতম কারণ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Tax
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE