আমেরিকার সঙ্গে ভারতের বাণিজ্য চুক্তি কোন পথে, তা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। আজ কেন্দ্রীয় বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গয়ালের আশ্বাস, দুই দেশের প্রতিনিধিদের মধ্যে আলোচনা দ্রুত এগোচ্ছে। ওমানের সঙ্গে অবাধ বাণিজ্য চুক্তি প্রায় চূড়ান্ত। তাঁর আরও দাবি, ব্রিটেনের সঙ্গে চুক্তিতে সমস্ত ক্ষেত্রকে সুরক্ষা দেওয়া হয়েছে। এই চুক্তি ‘অভূতপূর্ব’।
পাঁচ দফা বৈঠকের পরে অগস্টের দ্বিতীয়ার্ধে ভারতে আসার কথা আমেরিকার বাণিজ্য প্রতিনিধিদের। কিন্তু তার আগে সে দেশের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চড়া আমদানি শুল্ক কার্যকর করলে বাণিজ্যে তার কী প্রভাব পড়বে এবং আলোচনার অভিমুখ কোন দিকে যাবে, তা নিয়ে উদ্বিগ্ন সংশ্লিষ্ট মহল। আজ এক সাংবাদিক বৈঠকে গয়ালের দাবি, কথাবার্তা দ্রুত গতিতেই এগোচ্ছে। তিনি আরও বলেন, ‘‘ব্রিটেনের সঙ্গে চুক্তির বাইরে রাখা হয়েছে চাল, চিনি, দুগ্ধজাত পণ্যের মতো স্পর্শকাতর ক্ষেত্রকে। জুতো, বস্ত্র এবং গয়নার মতো শ্রমনিবিড় ক্ষেত্রগুলি থেকে রফতানি বৃদ্ধি পাবে।’’ মন্ত্রীর ব্যাখ্যা, ব্রিটেনের কোনও পণ্যের আমদানি হঠাৎ বাড়লে চুক্তিতে সাময়িক ভাবে সুরক্ষা পদক্ষেপের অধিকার রয়েছে ভারতের। সে ক্ষেত্রে দু’বছরের জন্য শুল্ক বাড়ানো বা বসানো যেতে পারে। পরের দফায় যেতে পারে আরও দু’বছর।
আজ পূর্বতন ইউপিএ সরকারকে বিঁধেছেন গয়াল। তাঁর দাবি, আগের সরকার আসিয়ানের মতো রাষ্ট্রগোষ্ঠীর সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি করেছিল। যারা কিনা ভারতের প্রতিযোগী। শূন্য শুল্কের সুবিধা নিয়ে তারা এ দেশে রফতানি বাড়িয়েছে। এখন ভারত চুক্তি করছে এমন সমস্ত দেশের সঙ্গে, যাদের পণ্যের সঙ্গে ভারতীয় পণ্যের সরাসরি প্রতিযোগিতা নেই।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)