এক দিকে রফতানি কমা। অন্য দিকে আমেরিকার বাজারে পাঁচিল ওঠায় বিভিন্ন দেশ থেকে ভারতে রফতানির জোয়ার। তাতে দেশীয় সংস্থাগুলির ব্যবসায় সম্ভাব্য ধাক্কা। শুধু তাই নয়, অন্য দেশের বাজার ধরতে রফতানিকারী সংস্থাগুলির মধ্যে দামের প্রতিযোগিতায় মুনাফা মার খাওয়া, এমনকি লোকসানের ঝুঁকি রয়েছে বলেও মনে করছে ইস্পাত শিল্প। আমেরিকা ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়ামে শুল্ক চাপানোর পরে এই সব আশঙ্কায় কার্যত প্রমাদ গুনছে তারা।
স্টেনলেস স্টিল সংস্থাগুলির সংগঠন আইএসএসডিএ-র উদ্বেগ, ওই সিদ্ধান্ত ভারত-আমেরিকার বাণিজ্য সম্পর্কের অবনতি ঘটাবে। মূলত দু’ভাবে ধাক্কা আসতে পারে। আমেরিকায় ইস্পাত বিক্রি বন্ধ হলে রফতানি কমবে। যা দেশের অর্থনীতির পক্ষে খারাপ। সেই সঙ্গে চিন-সহ ইস্পাত প্রস্তুতকারী আরও কিছু দেশ আমেরিকার বদলে অন্য দেশে পণ্য পাঠাতে উদ্যোগী হবে। যার মধ্যে রয়েছে ভারতও। এতে এ দেশের সংস্থাগুলির ব্যবসা মার খেতে পারে। সস্তা ইস্পাতের জোগান বাড়লে দাম ও দেশীয় পণ্যের চাহিদা কমতে পারে।
শ্যাম মেটালিক্সের এক কর্তার বক্তব্য, মূলত সমস্যায় পড়বে ইস্পাত রফতানিকারীরা। আইএসএসডিএ-র সভাপতি রাজামনি কৃষ্ণমূর্তি বলেন, “দেশীয় ইস্পাত শিল্পের অগ্রগতি ধাক্কা খেতে পারে। কমতে পারে কাজও।’’
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)