Advertisement
E-Paper

মার্চে পাইকারি বাজারের দাম কমে ছ’মাসে সর্বনিম্ন! মধ্যবিত্তের কতটা সুরাহা?

দেশের পাইকারি মূল্যস্ফীতি মার্চ মাসে ২.০৫% এবং ফেব্রুয়ারিতে ২.৩৮% ছিল। পাইকারি মূল্য সূচকের (হোলসেল প্রাইস ইনডেক্স বা ডব্লিউপিআই) মুদ্রাস্ফীতির হার নামায় মিলেছে স্বস্তি। এর জেরে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম কমার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছেন আর্থিক বিশ্লেষকেরা।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৫ এপ্রিল ২০২৫ ১৬:৫৬
India\\\\\\\'s wholesale price inflation was at six months low

—প্রতীকী ছবি।

ফের সরাসরি দাম কমল পাইকারি বাজারে। মার্চ মাসে সর্বনিম্ন হল পাইকারি মূল্য সূচক। মঙ্গলবার প্রকাশিত সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে মার্চ মাসে পাইকারি মূল্য সূচকের ভিত্তিতে হিসাব করা মূল্যবৃদ্ধির হার ২.০৫ শতাংশে এসে দাঁড়িয়েছে। এই হার গত ছ’মাসের মধ্যে সবচেয়ে কম বলে সংবাদ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। দেশের পাইকারি মূল্যস্ফীতি মার্চ মাসে ২.০৫% এবং ফেব্রুয়ারিতে ২.৩৮% ছিল। পাইকারি মূল্য সূচকের (হোলসেল প্রাইস ইনডেক্স বা ডব্লিউপিআই) মুদ্রাস্ফীতির হার নামায় মিলেছে স্বস্তি। এর জেরে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম কমার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছেন আর্থিক বিশ্লেষকেরা। সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশ বলছে, পাইকারি বাজারে দাম কমলেও, খুচরো বাজারে এখনও সে ভাবে তার প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে না। বরং নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দরে নাজেহাল হচ্ছেন মানুষ।

ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার একটি প্রতিবেদন অনুসারে , ২০২৫ সালের মার্চ মাসে পাইকারি মূল্য সূচক বা ডব্লিউপিআই মুদ্রাস্ফীতি ২.১ শতাংশে নেমে আসতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। এই ফেব্রুয়ারিতে ২.৪ শতাংশ ছিল। মূলত খাদ্যের দামের হ্রাসের জেরেই মানুষের দৈনন্দিন খরচের বোঝা কিছুটা লাঘব হয়েছে বলে আজ প্রকাশিত সরকারি পরিসংখ্যান থেকে জানা গিয়েছে। মাসিক ভিত্তিতে সব্জির দাম ৪ শতাংশ কমেছে, যদিও আগের মাসের তুলনায় এই হ্রাসের গতি কিছুটা কম। পাইকারি মূল্য কমলেও সমস্ত খাদ্যপণ্য এই ধারা অনুসরণ করেনি। মাসিক ভিত্তিতে ভোজ্য তেলের দাম ১.৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্য দিকে, চিনির দাম ১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে যে সব খাদ্যে ভোজ্যতেল এবং চিনি প্রধান কাঁচামাল সেই সমস্ত খাদ্যপণ্যের দাম কিছুটা বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হয়েছে। প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে বিশ্বব্যাপী অপরিশোধিত তেলের দাম হ্রাসের কারণে মার্চ মাসে জ্বালানির হোলসেল প্রাইস ইনডেক্স হ্রাস পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এ ছাড়াও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক যুদ্ধের কারণে বিশ্বব্যাপী ধাতুর দাম বেড়েছে। সে কারণে এই ক্ষেত্রে বিশ্বব্যাপী বাণিজ্যকে ব্যাহত করেছে এবং খরচ বাড়িয়েছে। তেলের দাম কমলেও, ধাতুর দাম বৃদ্ধি মুদ্রাস্ফীতিকে কিছুটা বাড়িয়ে দিতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

Economy Low Price
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy