মোদী সরকারের বিরুদ্ধে মুখ খুললেই শিল্প মহলকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হেনস্থার মুখে পড়তে হবে বলে দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ জানিয়ে আসছেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার কলকাতায় বণিকসভা ভারত চেম্বারের এক কর্মসূচিতে সেই অভিযোগকেই কার্যত মান্যতা দিল শিল্প। তাও আবার লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লার সামনে।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বিড়লার উদ্দেশে শিল্পপতি তথা বণিকসভার প্রাক্তন সভাপতি এন জি খেতান স্পষ্ট বলেন, ‘‘দেশের শিল্পপতিদের বেশ কিছু উদ্বেগের বিষয় রয়েছে। এত দিনজানতাম কোনও অভিযোগে জামিন পাওয়াই নিয়ম। জেল যাত্রা বিশেষ কিছু ব্যতিক্রমী ক্ষেত্রে হয়। দুর্ভাগ্যজনক ভাবে এখন জেল যাত্রাই নিয়ম। জামিন ব্যতিক্রম হয়ে দাঁড়িয়েছে।’’
খেতান নির্দিষ্ট কোনও ঘটনার উল্লেখ করেননি। তবে সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, সম্প্রতি ইডি কিংবা সিবিআইয়ের হাতে বহু শিল্পকর্তার গ্রেফতারির প্রেক্ষিতেই এই মন্তব্য। খেতান দ্বিতীয় ঘটনা হিসেবে বিচারপতি মনমোহনের একটি উক্তির উল্লেখ করেন। যেখানে বিচারপতি বলেছিলেন, জিএসটি ও আয়কর আধিকারিকেরা ধরেই নেন যে শিল্পকর্তারা কর ফাঁকি দেন। কিন্তু এই ধারণা ঠিক নয়। বরং দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে শিল্পপতিদের সৎ ভাবতে হবে। খেতানের অবশ্য দাবি, অধ্যক্ষ তাঁকে আশ্বাস দিয়েছেন, আগামী তিন-চার মাসের মধ্যে শিল্পকর্তাদের প্রতি সরকারের শীর্ষস্তরের মনোভাবের আমূল বদল হবে।
সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশের মতে, অধ্যক্ষের সামনে ক্ষোভ প্রকাশ করার অর্থ সরাসরি সরকারের সর্বোচ্চ স্তরে বার্তা পাঠানো। বিড়লা অবশ্য বিষয়টি নিয়ে প্রকাশ্যে কোনও মন্তব্য করেননি। শুধু বলেছেন, ‘‘সরকার দেশের সামগ্রিক শিল্পায়নের স্বার্থে লাল ফিতের ফাঁস কমিয়েছে। ন্যূনতম সরকার ও সর্বোচ্চ পরিষেবার লক্ষ্যপূরণে পদক্ষেপ করা হচ্ছে।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)