কর জমা দিতে গেলেই পোর্টালে গণ্ডগোল। নতুন কর জমানা চালু হওয়ার পর থেকেই জিএসটি নেটওয়ার্কের এই দুরবস্থা নিয়ে অভিযোগ তুলে তিতিবিরক্ত ব্যবসায়ীরা এ বার দাবি তুললেন, তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্ত হোক।
ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, জুলাইয়ে জিএসটি চালুর পর থেকেই প্রতি মাসে জিএসটি পোর্টালে রিটার্ন জমার ব্যবস্থায় সমস্যা দেখা গিয়েছে। অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি এত দিন বলছিলেন, সময়সীমা শেষ হওয়ার ঠিক আগে সবাই হুড়োহুড়ি করে কর দিতে যাচ্ছেন বলেই এই সমস্যা। কিন্তু মাসের পর মাস একই সমস্যা দেখা দেওয়ায়, এখন অর্থ মন্ত্রকের কর্তারাও দায় নিতে চাইছেন না। তাঁরাও জিএসটি নেটওয়ার্ক (জিএসটিএন) পোর্টালটি তৈরি ও পরিষেবার দায়িত্বে থাকা তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা ইনফোসিস সংস্থাকে দুষতে শুরু করেছেন।
ব্যবসায়ীদের সর্বভারতীয় সংগঠন সিএআইটি-র মহাসচিব প্রবীণ খাণ্ডেলওয়ালের দাবি, ‘‘প্রায় ১৪০০ কোটি টাকা খরচ করা ও দু’বছর সময় দেওয়ার পরেও পোর্টাল তৈরির ব্যর্থতা নিয়ে সিবিআই তদন্ত দরকার। দুর্নীতির সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।’’ দু’বছর আগে ইনফোসিসই জিএসটি নেটওয়ার্কের পরিকাঠামো তৈরি ও তা চালানোর জন্য ১,৩৮০ কোটি ডলারের বরাত পেয়েছিল। অর্থ মন্ত্রকের কর্তাদের ক্ষোভ, পরিষেবা হতাশাজনক বলেই জুলাইয়ের জিএসটি রিটার্ন-২ জমার সময়সীমা ৩১ অক্টোবর থেকে বাড়িয়ে ৩০ নভেম্বর করা হয়েছে। যা আসলে অগস্টে ফাইল হওয়ার কথা ছিল। জুলাইয়ের জিএসটি রিটার্ন-৩ ফাইলের সময় ১০ নভেম্বর থেকে পিছিয়ে ১১ ডিসেম্বর করতে হয়েছে।
ইনফোসিসের তরফে অবশ্য জানানো হয়েছে, তারা যাবতীয় ত্রুটি মেরামতের চেষ্টা করছে। খাণ্ডেলওয়াল অবশ্য এই যুক্তি মানতে নারাজ। তাঁর বক্তব্য, ‘‘জিএসটি চালুর চার মাস পরেও মনে হচ্ছে, পরীক্ষামূলক কাজ চলছে। ব্যবসায়ীরা হেনস্থা হচ্ছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy