দূষণ এবং তেল আমদানি কমাতে বেশ কিছু দিন ধরে বৈদ্যুতিক গাড়ি চালুর উপরে জোর দিচ্ছে কেন্দ্র। হালে তার বিক্রিও বেড়েছে কিছুটা। কিন্তু এখনও দেশের বেশির ভাগ এলাকায় এই ধরনের গাড়ির ব্যবহার বাড়ানোর মতো পরিকাঠামো তৈরি হয়নি বলেই জানাচ্ছে মূল্যায়ন সংস্থা কেয়ারএজ। তাদের এক সমীক্ষা-রিপোর্টে প্রকাশ, চিন, দক্ষিণ কোরিয়া কিংবা ইউরোপীয় অঞ্চলের দেশগুলির শহরাঞ্চলে প্রতি ৭-১৫টি বৈদ্যুতিক গাড়ি পিছু একটি চার্জ দেওয়ার কেন্দ্র। অথচ ভারতে ২৩৫টি গাড়ি পিছু একটি। তার উপর ব্যাটারির খরচ গাড়ির দামের প্রায় ৩৫-৪৫ শতাংশ। কেয়ারএজ-এর মতে, তা ২০ শতাংশের কাছে না নামলে সাধারণ মানুষের পক্ষে এই গাড়ি কেনা কঠিন।
যদিও সংস্থাটি জানিয়েছে, গত চার বছরে দেশে এই গাড়ি বিপুল বেড়েছে। ২০২১-এ সব ধরনের বৈদ্যুতিক গাড়ি বিকিয়েছিল প্রায় ৫০০০। এ বার হয়েছে প্রায় ১.১ লক্ষ। তবে সিংহভাগই দুই এবং তিন চাকা। যাত্রিবাহীগুলির বিক্রি তেমন বাড়েনি। গাড়ি বিক্রেতাদের সংগঠন ফাডার তথ্য, জুনে দেশে মোট গাড়ি বিক্রি হয়েছে ২০.০৩ লক্ষ। তার মধ্যে বৈদ্যুতিক প্রায় ১.০৮ লক্ষ।
কেয়ারএজ-এর বার্তা, বৈদ্যুতিক গাড়ির পরিকাঠামো তো জরুরি বটেই। রাস্তাঘাট, প্রশাসনিক ব্যবস্থাও সে রকম হতে হবে। না হলে যে লক্ষ্য নিয়ে এই গাড়ি আনা, তা সফল হবে না। সংস্থার সিনিয়র ডিরেক্টর তানভি শাহের মতে, ২০২৮-এর মধ্যে বৈদ্যুতিক যাত্রিবাহী গাড়ির অংশীদারি ৭% পেরোবে। ফাডার দাবি, জুনে এই অংশীদারি ছিল ৪.৪৩%। তাদের সভাপতি সি এস বিজ্ঞেশ্বর অবশ্য বলছেন, ‘‘বিক্রি বাড়ছে ভাল খবর। কিন্তু দুই-তিন চাকা বেশি। চার চাকার বিক্রি বেশি বাড়াতে চার্জিং স্টেশন, কম দামি ব্যাটারি-সহ একাধিক পরিকাঠামোর উন্নতি দরকার।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)