করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের হানায় তীব্র হচ্ছে হাসপাতালে শয্যা-সঙ্কট। ঘাটতিতে কিছুটা রাশ টানতে এ দফাতেও কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকার বিভিন্ন হোটেলের ঘরকে হাসপাতালের বিকল্প শয্যা হিসেবে কাজে লাগানোর চেষ্টা শুরু হয়েছে। এখন তা জেলাতেও ছড়ানোর চেষ্টা চলছে। সরকারি সূত্রের খবর, মঙ্গলবার রাজ্য প্রশাসন, হাসপাতাল ও হোটেল, এই তিন পক্ষের বৈঠকের পরে স্থির হয়েছে, আগামী ক’দিনের মধ্যে বিভিন্ন জেলার হোটেলের ঘর চিহ্নিত করা হবে। তার পরে হোটেল ও হাসপাতালগুলি সেগুলিকে শয্যা হিসেবে ব্যবহারের জন্য চুক্তি করবে।
গত সপ্তাহে রাজ্য ও কলকাতা পুরসভার কর্তারা এ নিয়ে বৈঠক করার পরে পূর্ব-ভারতে হোটেল শিল্পের সংগঠন এইচআরএইআই কলকাতায় নানা হোটেলের ৫০০টি ঘর চিহ্নিত করেছে। তার অনেকগুলিতেই এখন করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা চালাচ্ছে বিভিন্ন হাসপাতাল। চিকিৎসার অতিরিক্ত পরিকাঠামোর বিষয়ে গঠিত টাস্ক ফোর্সের অধীনে এ দিন সল্টলেকে রাজ্য পর্যটন নিগমের দফতরে পর্যটন সচিব নন্দিনী চক্রবর্তী, নিগমের এমডি কৌশিক ভট্টাচার্য ও স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা এইচআরএইআই এবং হাসপাতালের সংগঠন এএইচইআই-এর কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
পরে এইচআরএইআইয়ের প্রেসিডেন্ট সুদেশ পোদ্দার বলেন, ‘‘সরকারের নির্দেশ মতো তিন-চার দিনের মধ্যে বিভিন্ন জেলায় সদস্য হোটেলের ঘরের তালিকা দেব। তার পর সংশ্লিষ্ট এলাকার হাসপাতাল ও হোটেল চুক্তি করবে।’’ এতে ধুঁকতে থাকা হোটেলগুলিও বিকল্প আয়ের সূত্র পাবে। পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়ে এএইচইআইয়ের প্রেসিডেন্ট রূপক বড়ুয়া বলেন, ‘‘জেলায় বহু ভাল হোটেল ও হাসপাতাল আছে। দু’পক্ষ একসঙ্গে হলে শয্যার জোগান বাড়বে। কাছাকাছি চিকিৎসার সুযোগ মিলবে। কলকাতার উপরে চাপ কমবে। যদিও কারও অবস্থা সঙ্কটজনক হলে এবং আরও আধুনিক চিকিৎসার প্রয়োজন হলে কলকাতায় পাঠানো যেতে পারে।’’
তবে হোটেলে হাসপাতালের মতো চিকিৎসা হবে কি না, তা নিয়ে অনেকের মনে সংশয় রয়েছে। রূপকবাবুর আশ্বাস, হাসপাতালের তত্ত্বাবধানেই চিকিৎসা হচ্ছে। সংশয় কাটাতে সরকারের তরফেও বার্তা দেওয়ার আর্জি জানান তিনি।