প্রতীকী ছবি
লকডাউনে স্তব্ধ ব্যবসায় আয় প্রায় উধাও। তার উপরে ধাক্কা আমপানের মতো প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের। কিন্তু টাকার প্রয়োজনে ঋণের জন্য ব্যাঙ্কে গেলেও অনেক সময়ে খালি হাতে ফিরতে হচ্ছে একাংশকে। ফলে ঝোঁক বাড়ছে সোনার গয়না বন্ধক রেখে ধার নেওয়ার। বিশেষত ছোট-মাঝারি ব্যবসায়ী, চাষি এবং সাধারণ গৃহস্থের। সোনার দাম চড়া থাকার সুযোগ নিয়ে দ্রুত ও যতটা সম্ভব বেশি নগদের ব্যবস্থা করে ফেলতে চাইছেন তাঁরা।
সংশ্লিষ্ট শিল্পের অনেকে বলছেন, গত প্রায় আড়াই মাস ধরে সংসার চালাতে গিয়ে ঘরের টাকা ফুরিয়েছে। এ বার লকডাউন শিথিল হওয়ায় ফের ব্যবসা-পত্তর চালু হয়েছে ঠিকই। কিন্তু সে জন্য নগদ লাগবে। কৃষকদেরও টাকা জরুরি বোরো চাষে নামতে। অগত্যা ধার ছাড়া পথ নেই। কিন্তু একাংশের অভিযোগ, ব্যাঙ্ক ঋণ দেওয়ার জন্য যে শর্ত বাঁধছে বা নথি চাইছে, তা মানা বা দেওয়া অনেকর পক্ষেই কঠিন। ফলে বাড়ছে সোনা বন্ধক রাখার হিড়িক। তা ছাড়া ব্যাঙ্ক ঋণ নিতে যত সময় লাগে, তার থেকে সহজ গয়না বন্ধক রেখে ধার নেওয়া।
ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের কর্তা সোমসুন্দরম পি আর বলেন, “বর্তমান পরিস্থিতিতে ব্যাঙ্কগুলির পক্ষে ঝুঁকি এড়ানোর চেষ্টা অস্বাভাবিক নয়। সে দিকে থেকে গয়না বন্ধক রেখে টাকা জোগাড় সহজ।’’ স্বর্ণঋণ সংস্থা মুথুট ফিনান্সের এমডি জর্জ আলেকজান্ডার মুথুটেরও দাবি, ‘‘গয়না বন্ধক রাখার প্রবণতা সব শ্রেণির মানুষের মধ্যেই বেড়েছে।’’ আর ছোট বন্ধকী কারবারে যুক্ত অখিল ভারতীয় স্বর্ণকার সমিতির সাধারণ সম্পাদক টগর পোদ্দারের কথায়, “করোনা, আমপানে আর্থিক সমস্যা এতটাই গভীর হয়েছে যে, টাকা জোগাড়ে মূলত আধাশহর, গ্রামে বন্ধক রেখে ধার বাড়ছে। ফলে বন্ধকী কারবারিদের ব্যবসাও ঊর্ধ্বমুখী।’’
আরও পড়ুন: নিভৃতবাসের ভয়েই ঝিমিয়ে রফতানি
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy