ফাইল চিত্র।
তেলের আন্তর্জাতিক দরের তুলনায় ভারতের দামে অস্থিরতা কম। কিন্তু গড় দাম বৃদ্ধি বেশি। শুক্রবার আরবিআইয়ের গত ঋণনীতি কমিটির বৈঠকের সংক্ষিপ্ত বিবরণী প্রকাশ পেতেই দেখা যায়, সদস্যদের আলোচনায় উঠেছে এই কথা। বক্তা, কমিটির বহিরাগত সদস্য অসীমা গয়াল। এই বক্তব্যের পক্ষে তাঁর যুক্তি ছিল, বিশ্ব বাজারে তেলের দাম বৃদ্ধির সময় দেশে জ্বালানিতে কর কমেনি। অথচ অশোধিত তেলের দাম যখন পড়ছিল তখন কর বেড়েছে। ফলে পেট্রল-ডিজ়েলের দাম বেড়েছে বেশি। এই যুক্তিতেই চড়া তেলের দাম নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অসন্তোষ দানা বেঁধেছে দেশে। বিরোধীরাও বার বার এই তোপই দাগছেন।
অসীমার কথায় কার্যত এই ইঙ্গিতও ছিল যে, নাগাড়ে দেশের জ্বালানির দাম বৃদ্ধিই বাদ সাধছে মূল্যবৃদ্ধির লক্ষ্য পূরণের পথে। কেন্দ্রের নির্দেশ অনুসারে শীর্ষ ব্যাঙ্ক যে লক্ষ্য বেঁধেছে ৪ (+/-২%) শতাংশে।
ঋণনীতি মারফত বৃদ্ধিতে গতি আনতে সাহায্য করা ও মূল্যবৃদ্ধিতে লাগাতার নজরদারি, বিবরণী অনুযায়ী বৈঠকে এই বার্তাই দিয়েছিলেন শীর্ষ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস। তাঁর সঙ্গে সহমত ছিলেন বাকি সদস্যরা। শুধু সুদ কমানোর পথ খোলা রাখার বিরোধী ছিলেন জয়ন্ত আর বর্মা। শ্লথ আর্থিক বৃদ্ধি ও মূল্যবৃদ্ধি, একই সঙ্গে এই দুই লড়াই ঋণনীতি কমিটির পক্ষে যে কতটা কঠিন, তা-ও বলেছেন অসীমা। বৈঠকে উঠে এসেছে আরও ভাল স্বাস্থ্য পরিকাঠামো, দ্রুত করোনা টিকাকরণ, কোভিড বিধি পালন নিশ্চিত করা এবং বাধাহীন জোগান ব্যবস্থার গুরুত্বের কথাও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy