মেয়াদি আমানতে সুদ কমার বিষয়টি কার্যত নিরুপায় হয়েই মেনে নিতে বাধ্য হয়েছেন সাধারণ মানুষ। কিন্তু তা বলে ‘লক্ষ্মীর ঝাঁপি’তেও যে এত তাড়াতাড়ি হাত পড়বে, এ কথা সম্ভবত কেউ ভাবেননি। কিন্তু দেখা গেল হাত পড়েছে সেই সেভিংস ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সুদের উপরেও। ‘পথ দেখিয়েছে’ দেশের বৃহত্তম ব্যাঙ্ক স্টেট ব্যাঙ্ক। পরে একই রাস্তায় পা মিলিয়েছে বেশ কয়েকটি সরকারি ও বেসরকারি ব্যাঙ্কও। যে-সব ব্যাঙ্ক এখনও পর্যন্ত ওই হার কমানোর সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে তাদের মধ্যে রয়েছে— স্টেট ব্যাঙ্ক, এইচডিএফসি ব্যাঙ্ক, পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক, অ্যাক্সিস ব্যাঙ্ক, ইয়েস ব্যাঙ্ক, কর্নাটক ব্যাঙ্ক, ব্যাঙ্ক অব বরোদা, ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্ক, আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক, ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক ইত্যাদি। বেশির ভাগ ব্যাঙ্কেই সুদ কমানো হয়েছে ৫০ লক্ষ টাকার কম জমার উপর। কিছু ক্ষেত্রে তা ২৫ লক্ষ ও ১ কোটি। অর্থাৎ ব্যাঙ্ক বিশেষে অ্যাকাউন্টে ২৫ লক্ষ, ৫০ লক্ষ ও ১ কোটি বা তার বেশি টাকা থাকলে পুরনো সুদই পাওয়া যাবে।
সেভিংস অ্যাকাউন্টে সাধারণত মোটা টাকা কেউ জমা রাখেন না। গত প্রায় সাত বছর গুটিকতক বেসরকারি ব্যাঙ্ককে বাদ দিলে এখানে চালু ছিল ৪ শতাংশ সুদের জমানা। আর সুদ খুব বেশি না-হওয়ার জন্যই মেয়াদি আমানত ও স্বল্প সঞ্চয়গুলির মতো এখানেও এত দ্রুত আঘাত আসতে পারে, সে কথা অনেকের মাথায় আসেনি। যে-কারণে সকলেই ভয় পেয়ে গিয়েছেন। অনেকের মনেই উঁকি দিচ্ছে একটা প্রশ্ন, তা হলে কি সেভিংস অ্যাকাউন্টের আর তেমন প্রয়োজন থাকছে না? যে-কারণে এরই মধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে বিকল্পের সন্ধানও। আজ এই সেভিংস অ্যাকাউন্টের গুরুত্বই বুঝতে চেষ্টা করব আমরা। চোখ রাখব এর বিকল্পগুলির উপরেও।