বাজেট বক্তৃতায় বুধবার রাজ্যের অর্থ দফতরের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানালেন, রাজ্যে পাইপে রান্নার গ্যাস সরবরাহের জন্য কাজ চলছে। এখনও পর্যন্ত ৭৯৫ কিলোমিটার পাইপলাইন বসিয়েছে এর দায়িত্বে থাকা বেঙ্গল গ্যাস কোম্পানি। তবে প্রকল্প কবে সম্পূর্ণ হবে, তার কোনও উল্লেখ করেননি তিনি। এ দিনই বণিকসভা অ্যাসোচ্যামের এক সভায় বেঙ্গল গ্যাস কোম্পানিরই সিইও অনুপম মুখোপাধ্যায় জানান, কলকাতা শহরের উপকণ্ঠে নিউটাউনে পাইপবাহিত রান্নার গ্যাস পৌঁছতে আর এক বছর লাগবে। আশা করা হচ্ছে, ২০২৬-এর মার্চের মধ্যেই তা পাবেন সেখানকার বাসিন্দারা। কিন্তু কলকাতায় কবে আসবে, স্পষ্ট জানাতে পারেননি অনুপম।
চন্দ্রিমা দাবি করেছেন, এখনও পর্যন্ত ৭৯৫ কিলোমিটার পাইপলাইন বসাতে খরচ হয়েছে ৫৩২২ কোটি টাকা। এর মাধ্যমে সিএনজি এবং পিএনজি গ্যাস রান্নার জন্য সরবরাহ করা হবে। পাইপবাহিত গ্যাস জোগানের এই প্রকল্প কেন্দ্রের ‘উর্জা গঙ্গা’ প্রকল্পের অন্তর্গত। অনুপম এ দিন জানান, বর্তমানে এই পাইপলাইন কল্যাণীর গয়েশপুর পর্যন্ত এসেছে। এর পরে তা ব্যারাকপুর হয়ে বিমানবন্দরের দিকে এগিয়ে যাবে। কিন্তু তা নিয়ে প্রশাসনিক স্তরে এখনও ছাড়পত্র মেলেনি। ফলে আপাতত সেই কাজ স্থগিত রয়েছে। এর পরে শহরের মধ্যে প্রবেশ করবে সেই লাইন। তবে ব্যারাকপুর থেকে বারাসতের মধ্যে লাইন বসে গিয়েছে। অনুপম আশা প্রকাশ করে বলেন, ‘‘আগামী ছ’মাসের মধ্যে এই লাইন বিমানবন্দর পর্যন্ত পৌঁছে যাবে।’’ তবে কলকাতা শহরের মধ্যে কবে প্রবেশ করবে, সে ব্যাপারে স্পষ্ট করে কিছু বলেননি তিনি।
যদিও সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, আগামী বছরেও শহরবাসী সম্পূর্ণ রূপে এই গ্যাস পাবেন কি না, সে ব্যাপারে ধোঁয়াশা রয়েছে। এই নিয়ে প্রশাসনিক স্তরে টালবাহানা বহাল। তবে জট কাটাতে ইতিমধ্যেই বেঙ্গল গ্যাস কোম্পানির অন্যতম অংশীদার রাষ্ট্রায়ত্ত গ্যাস সংস্থা গেল-এর শীর্ষকর্তারা নবান্নে এসে বৈঠকও করে গিয়েছেন। তারই ফলশ্রুতি হিসেবে বুধবারের বাজেটে এই পাইপবাহিত গ্যাস প্রকল্পের উল্লেখ বলে দাবি করছেন তাঁরা।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)