জিএসটি-র হার ভবিষ্যতে আরও কমে আসবে বলে শনিবারই বার্তা দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। বিরোধী কংগ্রেসের যদিও দাবি, শুধু করের হার কমালেই চলবে না। আরও সহজ-সরল জিএসটি ব্যবস্থা চালু করা জরুরি। সেই সঙ্গে এই পরোক্ষ কর ব্যবস্থায় কমানো দরকার জালিয়াতি। তৃতীয়ত, করের হারের সরলীকরণ জরুরি। বিরোধী দলের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশের বক্তব্য, ‘‘বল এখন সরকারের কোর্টে। তারা কি এই সুযোগ নেবে?’’
নির্মলা বলেছিলেন, এই পরোক্ষ কর ব্যবস্থা চালুর আগে ও পরে রাজস্ব আদায় যাতে সমান থাকে, সে জন্য ২০১৭ সালের ১ জুলাই জিএসটি-র গড় হার ধরা হয় ১৫.৮%। কর সংগ্রহ বাড়ায় ২০২৩ সালে তা নেমেছে ১১.৪ শতাংশে। তাঁর আশা, সেই হার আরও কমবে। সেই সঙ্গে জিএসটি-তে করের হার ও স্তর সরলীকরণের কাজও শেষের মুখে বলে দাবি করেন নির্মলা।
রমেশের বার্তা, অর্থমন্ত্রী জিএসটি কমানোর কথা বলেছেন। এর আগে ক্যারামেল পপকর্নে কর কমানো হয়েছে। কিন্তু জিএসটি-তে বিভিন্ন ধরনের পপকর্নে তিনটি করের হার রয়েছে। আবার গোল পাউরুটিতে (বান) রয়েছে দু’টি করের হার। ফলে শুধু কর ছাঁটাই করাই শেষ নয়, পুরো ব্যবস্থা ঢেলে সাজানো জরুরি। এই প্রসঙ্গে মুখ্য আর্থিক উপদেষ্টা ভি অনন্ত নাগেশ্বরনের কথা তুলে ধরেছেন রমেশ। যেখানে উপদেষ্টা মেনেছিলেন এখন সেস-সহ জিএসটি-তে প্রায় ১০০টি করের হার রয়েছে।
কংগ্রেস নেতার কথায়, ‘‘এই জটিল ব্যবস্থায় ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও সরকারের ঝক্কি বাড়ে। এত করের হারের হাত ধরে জিএসটি ফাঁকির অঙ্ক পৌঁছেছে ২.০১ লক্ষ কোটি টাকায়। ২০২৩-এ ছিল ১.০১ লক্ষ কোটি।’’ জটিল জিএসটি ও সফটওয়্যার তথা
প্রযুক্তিতে খামতির জেরেই জালিয়াতি বেড়েছে বলে দাবি তাঁর। যেখানে কর ফাঁকির অন্যতম অস্ত্র আগে মেটানো কর ফেরতের ব্যবস্থা (আইটিসি)।
রমেশের আরও দাবি, গত ক’মাসে চড়া রিফান্ডের কারণে জিএসটি আদায় কমেছে। তা ছাড়া খাতাবই, স্কুলের পোশাক ইত্যাদি, কলেজ-সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ফি-তে জিএসটি চাপে। ফলে করের সরলীকরণ জরুরি।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)