প্রতীকী ছবি।
বণিকসভার হাত ধরে স্টার্ট-আপ শিল্পের পাশে দাঁড়াচ্ছে কলকাতা।
সিআইআই ইতিমধ্যেই নতুন উদ্যোগের ভিত শক্ত করতে এগিয়ে এসেছে। এ বার অ্যাসোচ্যামও নতুন সংস্থা তৈরির বীজ বুনতে চাইছে। আর, এই শহর থেকেই জাতীয় স্তরের দু’টি বণিকসভা যাত্রা শুরু করছে।
এই উদ্যোগের গোড়ায় রয়েছেন নতুন প্রজন্মের শিল্পপতিরা। তাঁরা বাপ-ঠাকুর্দার তৈরি ব্যবসা উত্তরাধিকার সূত্রে দেখাশোনা করছেন। কিন্তু বাড়তি বিনিয়োগের গন্তব্য হিসেবে বেছে নিচ্ছেন স্টার্ট-আপ দুনিয়াকে। এখানেই এগিয়ে আসছে বণিকসভা। বিনিয়োগের পাশাপাশি নতুন উদ্যোগপতিদের বাজার পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব তুলে নিচ্ছে সিআইআই-এর ওয়েব পোর্টাল বা অ্যাসোচ্যামের ‘আলফা নেটওয়ার্ক’।
অবশ্য শুধু লাভের আশা নয়। ছোট থেকে বড় করে তোলার উত্তেজনার টানেও স্টার্ট-আপ দুনিয়ার দিকে ঝুঁকছে শিল্পোদ্যোগী পরিবারগুলির নতুন শাখা-প্রশাখা। ঝুঁকি মেনেই পুঁজি ঢালছেন কোটিপতিরা। আলফা নেটওয়ার্কের অন্যতম সদস্য দেবেশ বনসলের দাবি, এ রাজ্যের বিনিয়োগ-বান্ধব মুখ তুলে ধরতে স্টার্ট-আপই নতুন বাজি। তিনি বলেন, ‘‘পুঁজিই সব নয়। কর্মীদের প্রশিক্ষণ থেকে শুরু করে বাজারের খুঁটিনাটি তথ্য দিয়ে সংস্থার ভিত শক্ত করবে এই সংগঠন।’’ একই সুরে সিআইআই-এর তরফে সন্দীপন চট্টোপাধ্যায় জানান, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে প্রকল্পের মূল ভাবনা মৌলিক হলেও বাস্তবে তার বাণিজ্যিক সম্ভাবনা প্রায় শূন্য। কারণ মাঠে নেমে সমস্যার সমাধান করতে চাই বাস্তব সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা। এখানেই নবীন উদ্যোগীদের সহায়তা দিতে চান তাঁরা।
কলকাতায় বছর তিনেক আগে তৈরি হয়েছে স্টার্ট-আপ লগ্নিকারীদের সংগঠন ক্যালকাটা এঞ্জেল নেটওয়ার্ক। তৈরি হয়েছে প্রাইমার্ক আইভেঞ্চার, ট্রাইটন ইনভেস্টমেন্টস-এর মতো উদ্যোগ-পুঁজি সংস্থা। এ সব সংস্থার মূলেও রয়েছেন নতুন প্রজন্মের শিল্পপতিরা। শেয়ার বাজার, সোনা ও জমি-বাড়ির পাশাপাশি তাঁদের বিনিয়োগের তালিকায় উঠে এসেছে স্টার্ট-আপ বা সদ্য তৈরি সংস্থা।
দেশের অন্যান্য প্রান্তেও একই ছবি। রতন টাটা, নারায়ণমূর্তি, মোহনদাস পাই থেকে শুরু করে সকলেরই লগ্নির পছন্দের গন্তব্য স্টার্ট-আপ। বিনিয়োগের এই নতুন দৌড়ে পা মেলাচ্ছে কলকাতাও। তবে অনেকটাই সঙ্ঘবদ্ধ ভাবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy