সমীক্ষা বলছে, বাণিজ্যিক কর্মকাণ্ড কোথায় কতটা বাড়ছে তা সহজে বুঝতে হলে সংস্থার দফতর খোলা কিংবা সম্প্রসারণের জন্য জায়গার চাহিদায় চোখ রাখতে হয়। সেই নিরিখেই দেশের প্রথম সারির আট শহরের মধ্যে সবার শেষে কলকাতা।
এ রাজ্যে শিল্প-বাণিজ্যের কর্মকাণ্ড দেশের অন্যান্য অংশের তুলনায় অনেক কম দাবি করে প্রায়শই তৃণমূল সরকারকে বেঁধে বিরোধীরা। এ বার আবাসন উপদেষ্টা নাইট ফ্রাঙ্কের রিপোর্টে দাবি, গত কয়েক বছর ধরেই ওই আট শহরের মধ্যে কলকাতায় সংস্থার দফতরের জন্য জায়গার (অফিস স্পেস) চাহিদা সর্বনিম্ন।
নাইট ফ্রাঙ্ক জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত কলকাতায় তৈরি অফিস-কাছারির জায়গার পরিমাণ ৩.৪ কোটি বর্গফুট। যা দিল্লি, মুম্বই, চেন্নাইয়ের মতো দেশের প্রথম সারির আট শহরের মোট ৯৯.৩ কোটি বর্গফুটের মাত্র ৩%। তালিকায় শীর্ষে বেঙ্গালুরু, এখানে তা প্রায় ২৩ কোটি বর্গফুট। তার পরে দিল্লি (২০ কোটি বর্গফুট) ও মুম্বই (১৭ কোটি বর্গফুট)। ৪.১ কোটি বর্গফুট জায়গা নিয়ে কলকাতার উপরেই আমদাবাদ। সব শহরের মোট অফিসের নিরিখে এই শহরের অংশীদারি ৪%। আর বেঙ্গালুরু ২৩%, দিল্লি ২০% এবং মুম্বই ১৭%।
নাইট ফ্রাঙ্কের সিনিয়র ডিরেক্টর জয়দীপ পাল বলেন, ‘‘কলকাতায় দেশের অন্য শহরের তুলনায় চাহিদা কম সেটা ঠিক। কিন্তু তা আগের থেকে ক্রমশ বাড়ছে। কলকাতায় অফিসের জায়গার চাহিদা সবচেয়ে বেশি সল্টলেক-নিউ টাউন এলাকায়।’’ নাইট ফ্র্যাঙ্কের রিপোর্ট জানাচ্ছে, সল্টলেক ও নিউটাউনের পরেই রয়েছে পার্ক স্ট্রিট, ডালহৌসি এলাকা। তার পরে বাইপাস, তপসিয়া, আনন্দপুর এলাকা।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)