রাজ্যের বন্দর পরিকাঠামোর উন্নয়নে বড় অঙ্কের চুক্তি করতে চলেছে শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি বন্দর (পূর্বতন কলকাতা পোর্ট)। বন্দর চেয়ারম্যান রথেন্দ্র রমনের উপস্থিতিতে ‘ইন্ডিয়া মেরিটাইম উইক ২০২৫’-এ মঙ্গলবার ও বুধবার মিলিয়ে এক ডজনের বেশি চুক্তি সই হওয়ার কথা। আর্থিক অঙ্ক প্রায় ৪০,০০০ কোটি টাকা। রথেন্দ্র জানান, রেল পরিকাঠামো, রাস্তার উন্নয়ন, দূষণহীন বিদ্যুৎ প্রকল্প, গ্রিনহাইড্রোজেন, গঙ্গা তীরের সৌন্দর্যায়ন-সহ নানা ক্ষেত্রে এই লগ্নি হবে।
এই সম্মেলনে রাজ্যের কোনও প্রতিনিধি যোগ দেননি। তবে কলকাতা বন্দরের পক্ষ থেকে বাংলার সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে তুলে ধরার চেষ্টা হয়েছে। পুরুলিয়া থেকে ছৌ মুখোশ তৈরির শিল্পী ও কৃষ্ণনগর থেকে শোলার কাজের শিল্পীকে মুম্বইয়ে আনা হয়েছে। বন্দরের প্যাভিলিয়নে রয়েছে বাংলার সংস্কৃতি ও কৃষ্টির ছোঁয়া। রথেন্দ্রের কথায়, ‘‘এই আন্তর্জাতিক সম্মেলনে এক টুকরো বাংলাকে তুলে ধরেছি।’’
কলকাতা বন্দরের ডেপুটি চেয়ারম্যান সম্রাট রাহি জানান আদানি, জেএসডব্লিউ, হাডকো, টাটা স্টিল, সৃজনের মতো একগুচ্ছ সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে চুক্তিগুলি হচ্ছে। কলকাতা ও হলদিয়ায় দু’টি পৃথক আউটার টার্মিনাল গড়া হবে। হলদিয়ার জন্য দরপত্র চাওয়া হয়েছে। লগ্নি হতে পারে ৮০০ কোটির বেশি। এ ছাড়া গঙ্গার জোয়ার-ভাটার সমস্যারকারণে হুগলির বলাগড়ে ৫০০ কোটি ব্যয়ে বার্জ টার্মিনাল তৈরির পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেছেন বন্দর কর্তৃপক্ষ। এ নিয়েইনল্যান্ড ওয়াটারওয়েজ় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মঙ্গলবার চুক্তিও করেছেন তাঁরা।
সম্রাট জানান, সাগরে এমন আরও একটি টার্মিনাল তৈরি করা যায় কি না, তার সমীক্ষা করা হচ্ছে। পাশাপাশি,হলদিয়া বন্দরের ৯ ও ১০ নম্বর বার্থের উন্নতি ও আধুনিকীকরণে ৬১৫ কোটির লগ্নি নিশ্চিত হয়েছে। কলকাতার নেতাজি সুভাষ ডকের পাঁচটি বার্থের আধুনিকীকরণে ৮৩২ কোটি টাকা লগ্নির সম্ভাবনা। হলদিয়া বন্দরে হচ্ছে অত্যাধুনিক ইন্টিগ্রেটেড কন্টেনার টার্মিনাল। খরচ ৭২১ কোটি। ডায়মন্ড হারবারে প্রায় ৫০ কোটি ব্যয়ে তৃতীয় ভাসমান ক্রেন বসানোর প্রকল্প সম্পূর্ণ। রায়চকে বন্দরের ৪০ একর জায়গা অম্বুজা গোষ্ঠীকে দেওয়া হয়েছে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)