উৎসবের মরসুমে পা রেখেই নজির গড়ে ফেলল কলকাতার আবাসন শিল্প। তৈরি এবং বিক্রি বৃদ্ধি, দু’ক্ষেত্রেই অর্জন করল প্রথম স্থান।
নির্মাণ উপদেষ্টা অ্যানারকের তথ্য বলছে, চলতি বছরের (ক্যালেন্ডার বর্ষ) তৃতীয় ত্রৈমাসিক অর্থাৎ জুলাই-সেপ্টেম্বরে তার আগের তিন মাসের থেকে দেশের প্রথম সারির সাতটি শহরে মধ্যে আবাসন বিক্রি সব থেকে বেশি বেড়েছে কলকাতায়। তার সংখ্যা ৪১৩০টি, আগের ত্রৈমাসিকে ৩৫৩০টির থেকে ১৭% বেশি। এর পরে রয়েছে পুণে ও চেন্নাই। বিক্রি বৃদ্ধির হার যথাক্রমে ৮% ও ৬%। গত বছরের জুলাই-সেপ্টেম্বরের নিরিখে ধরলে কলকাতা দ্বিতীয়। বিক্রি বৃদ্ধির হার ৪%। এ ক্ষেত্রে ৩৩% নিয়ে প্রথম চেন্নাই। বাকি পাঁচটি শহরেই আগের বছরের প্রেক্ষিতে বিক্রি কমেছে।
অ্যানারকের চেয়ারম্যান অনুজ পুরীর মতে, ‘‘সামগ্রিক ভাবে দেশে আবাসন বিক্রির হাল এই ত্রৈমাসিকে তেমন ইতিবাচক নয়। তবে কলকাতা ও চেন্নাইয়ের পরিস্থিতি ভাল। বিক্রীত আবাসনের সংখ্যার নিরিখে শীর্ষে মুম্বই। এখানে তিন মাসে বিকিয়েছে ৩০ হাজারের বেশি। নবরাত্রি, দশেরা ও দিওয়ালি মিলিয়ে তা আরও বেশ খানিকটা বাড়বে বলে আশা।”
অন্য দিকে, আবাসন তৈরির ক্ষেত্রেও কলকাতা সকলের আগে। এপ্রিল-জুনে ২৫১০টির চেয়ে জুলাই-সেপ্টেম্বরে তৈরি হয়েছে প্রায় ৪৯০০টি।বৃদ্ধির হার ৯৫%। এর পর রয়েছে পুণে, সংখ্যাটা প্রায় ১৯,৪০০। বৃদ্ধি ৩৬%। অ্যানারকের তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের তুলনায় আবাসন তৈরির ক্ষেত্রে পুণে ও কলকাতা, দুই শহরই ৫৬% বৃদ্ধির হার নিয়ে শীর্ষে। যদিও সংখ্যার হিসেবে এই শ্রেণিতেও প্রথম মুম্বই, তৈরি হয়েছে প্রায় ৩০,০০০টি।
অনুজ জানান, “নতুন আবাসন বিক্রির হালও তেমন ভাল নয়। গত বছরের তুলনায় এই ক্ষেত্রের বৃদ্ধি মাত্র ৩%, এপ্রিল-জুনের থেকে তা কমেছে ২%। অক্টোবর-ডিসেম্বরে ছবিটা না বদলালে ২০২৫ সাল সার্বিক ভাবে আবাসনের জন্য ইতিবাচক হবে না।” তাঁর দাবি, সব থেকে বেশি তাৎপর্যপূর্ণ আবাসন তৈরি কিংবা বিক্রি হওয়াগুলির মধ্যে কম দামি বা সাধ্যের আবাসনগুলির সংখ্যা সর্বনিম্ন হওয়া। এতে প্রমাণ হয়, বেশিরভাগ মধ্যবিত্তক্রেতা বাড়ির বাজার থেকে দূরে আছেন।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)