নির্মাণ শিল্পে বিনিয়োগ টানতে রাজ্যের অন্যতম বাজি এখন জমির অনুপাতে বাড়ি তৈরির বিধিনিষেধে ছাড়।
সম্প্রতি সিআইআইয়ের অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র জানান, রাজ্য কিছু ক্ষেত্রে ফ্লোর এরিয়া রেশিওতে বা এফএআরে (কোনও জমির উপর কত বর্গ ফুট নির্মাণ করা যাবে সেই অনুপাত) ছাড় দেবে। তিনি বলেন, ‘‘এই তালিকায় থাকছে পরিবেশবান্ধব বাড়ি ও মেট্রো রেল স্টেশনের ৫০০ মিটারের মধ্যের প্রকল্প। ১০% বেশি ছাড় পাবে নির্মাণ সংস্থাগুলি।’’
শুধু কম জমিতে বড় ফ্ল্যাট বা বাড়ি তৈরির সুবিধাই নয়, উপনগরী নির্মাণে লগ্নি টানতেও জমির ঊর্ধ্বসীমা আইনে বাঁধন আলগা করছে রাজ্য। অমিতবাবু জানান, ৫০ একরের বেশি জমিতে উপনগরী প্রকল্প তৈরি করলে, জমির ঊর্ধ্বসীমা আইন বাধা হবে না।
প্রসঙ্গত এই দুই সুবিধা রাজ্য আগেই উপনগরীর ক্ষেত্রে ঘোষণা করেছে। ডাবগ্রাম, বোলপুর, আসানসোল, কল্যাণী, ডুমুরজলা ও বারুইপুরে ‘থিম’ শহর তৈরির পরিকল্পনা করেছে তারা। সেখানে বিনিয়োগ টানতে ফ্লোর এরিয়া রেশিওয় ছাড় দেওয়া হয়েছে। যাতে কম জমিতে বেশি বর্গ ফুট তৈরি করে লাভের অঙ্ক বাড়িয়ে নিতে পারে নির্মাণ সংস্থা। অমিতবাবু বলেন, বোলপুর ছাড়া বাকি পাঁচ থিম-শহর গড়তেই বেসরকারি লগ্নি চাইছে সরকার।
নির্মাণ সংস্থাগুলির সংগঠন ক্রেডাই বেঙ্গল-এর কর্তা সুশীল মোহতা রাজ্যের পদক্ষেপকে স্বাগত জানান। তাঁর দাবি, লগ্নি আসা উচিত। কিন্তু বাধা এখন বাজারে চাহিদার অভাব।