ফাইল চিত্র।
তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পে বিনিয়োগ টানতে এ বার ময়দানে নামছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী।
দীর্ঘ ছ’বছর বাদে আলাদা ভাবে এই শিল্পের মুখোমুখি হচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর আগে ২০১১ সালে এ রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পরে ন্যাসকমের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন তিনি।
আগামী কাল থেকে দু’দিন কলকাতায় বসছে তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের চাঁদের হাট। উপলক্ষ, সফটওয়্যার শিল্পের সংগঠন ন্যাসকমের জাতীয় স্তরের বৈঠক। বিভিন্ন দেশি-বিদেশি সংস্থার শীর্ষ কর্তারা আলোচনায় বসবেন। এঁদের সঙ্গেই কাল সান্ধ্য আলাপচারিতায় যোগ দেবেন মমতা।
চাঁদের হাট
• ২০১১ সালের পরে তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের সঙ্গে আলাদা করে বৈঠক এই প্রথম
• থাকবেন রাজন আনন্দন (গুগ্ল ইন্ডিয়া), ঋশদ প্রেমজি (উইপ্রো), রেখা মেনন (অ্যাক্সেঞ্চার), দীনেশ মালকানি (সিস্কো), নিতিন শেঠ (ফ্লিপকার্ট), বণিতা নারায়ণন (আইবিএম), প্রবীণ রাও (ইনফোসিস), রমন রায় (কোয়াত্রো), মোহিত ঠুকরাল (জেনপ্যাক্ট), সি পি গুরনানি (টেক মহীন্দ্রা), আর চন্দ্রশেখর (ন্যাসকম প্রেসিডেন্ট) প্রমুখ
রাজ্যের সওয়াল
• এখানে রয়েছে অন্তত ৯০০ তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থা
• প্রত্যক্ষ কর্মসংস্থান ১.৫ লক্ষ। পরোক্ষ ৭.৫ লক্ষ
• ২০১৬-’১৭ সালে রফতানি ১৫,০০০ কোটির
• তুলনায় কম খরচে দক্ষ কর্মীর জোগান পর্যাপ্ত
দিল্লি, মুম্বই, বেঙ্গালুরুকে হারিয়ে ন্যাসকমের বৈঠক বসছে কলকাতায়। উদ্দেশ্য, তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পে ব্যবসার দিশা ঠিক করা। আর সেই সুযোগেই রাজ্যকে তথ্যপ্রযুক্তিতে লগ্নির ঠিকানা হিসেবে তুলে ধরতে চাইছে স্থানীয় শিল্পমহল। ভাবনার বাস্তব রূপ দিতেই মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ তারা।
শিল্পমহল সূত্রে দাবি, এ ধরনের তারকা-সমাবেশ সচরাচর কলকাতায় ঘটে না। সকাল থেকে ন্যাসকম-সদস্যরা কথা বলবেন নিজেদের মধ্যে। সান্ধ্য বৈঠকে রাজ্যের পরিকাঠামোগত সুবিধা, দক্ষ মানবসম্পদ, কম খরচে ব্যবসার সুযোগ নিয়ে মমতা সওয়াল করবেন। তুলে ধরবেন স্টার্ট-আপ নীতি। জানতে চাইবেন, লগ্নির জন্য আর কী সুবিধা চায় তথ্যপ্রযুক্তি শিল্প। তবে সংশ্লিষ্ট মহলের মতে বিশেষ আর্থিক অঞ্চল (এসইজেড) সম্পর্কে রাজ্য সরকারের অবস্থান মাথায় রেখেই সুবিধা চাইতে হবে শিল্পকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy