সারা দেশ বলতে গেলে ভোটের জ্বরে কাবু। কিন্তু কখনও ভোটের খবর দেখার চ্যানেলই উধাও টিভির পর্দা থেকে। কারও আবার পছন্দের সিরিয়ালের চ্যানেলে অন্ধকার। ট্রাইয়ের নির্দেশে প্রায় তিন মাস আগে কেব্ল টিভি ও ডিটিএইচ পরিষেবার নতুন নিয়ম চালু হলেও, এমন অভিযোগ শোনা যাচ্ছে এখনও। গ্রাহকের বাড়ি গিয়ে অবস্থা সরেজমিনে দেখে ট্রাইয়ের কর্তাদের অভিজ্ঞতা, ‘যা রটে, তার কিছু তো বটে’। তবে একই সঙ্গে তাঁদের দাবি, এই নিয়মে অসুবিধা ছাড়া টিভি দেখছেন, এমন ‘সন্তুষ্ট’ গ্রাহকও রয়েছেন।
১ ফেব্রুয়ারি থেকে টিভি দেখার নতুন নিয়ম চালু হয়। যা নিয়ে শুরু থেকেই সংশয় ছিল। অনেকের ক্ষোভ, এখনও সবটা স্বাভাবিক হয়নি। সে সব বুঝতে কলকাতা-সহ দেশের নানা প্রান্তে সম্প্রতি বেশ কিছু গ্রাহকের বাড়ি যান ট্রাই কর্তারা। যা মাল্টি সার্ভিস অপারেটর (এমএসও), ডিটিএইচ ও কেব্ল অপারেটরদের দফতরেও। সব খতিয়ে দেখে কিছু অভিযুক্ত সংস্থাকে শো-কজ নোটিসও দিয়েছে ট্রাই।
পূর্বাঞ্চলে ট্রাইয়ের অ্যাডভাইজ়র শৌভিক দাস জানান, গ্রাহকেরা পছন্দ মতো চ্যানেল দেখতে পাচ্ছেন কি না, অভিযোগ জানানোর ব্যবস্থা চালু হয়েছে কি না— এ সবই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তাঁর দাবি, কিছু গ্রাহক সন্তুষ্ট ঠিকই। কিন্তু অনেকে সমস্যার কথাও বলেছেন। পরিদর্শনস্থল থেকেই তা দ্রুত মেটাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সংস্থাগুলিকে। সিটি কেব্লের ডিরেক্টর সুরেশ শেঠিয়ার যদিও দাবি, রাজ্যের প্রায় ৫০ লক্ষ গ্রাহকের তুলনায় অভিযোগের সংখ্যা হাতে গোনা। তবে তা এলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
এ দিকে টেলি পরিষেবার মান, গ্রাহক সংখ্যা খতিয়ে দেখে নির্দিষ্ট সময় অন্তর যেমন অডিট করা হয়, কেব্ল ও ডিটিএইচ পরিষেবার ক্ষেত্রেও সেই ব্যবস্থা চালু করতে চলেছে ট্রাই। অডিট সংস্থাগুলিকে তালিকাভুক্ত হওয়ার জন্য আগ্রহপত্র চেয়েছে তারা। আজ, সোমবার তা জমার শেষ দিন। দিল্লি থেকে ট্রাইয়ের অ্যাডভাইজ়র অনিল ভরদ্বাজ জানান, সব কিছু ঠিক চললে মাসখানেকে তালিকা চূড়ান্ত হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy