ঘাড়ে চেপে থাকা বিপুল ধারের বড় অংশকে শেয়ারে বদলে ঘুরে দাঁড়ানোর পরিকল্পনার কথা জেট এয়ারওয়েজ বলছে ঠিকই। কিন্তু এখনও তাতে তেমন ভরসা করতে পারছে না জেটকে বিমান ভাড়া দেওয়া সংস্থাগুলি। তাই সময়ে ভাড়ার টাকা না পাওয়ায় আরও বেশি সংখ্যক বিমান বসিয়ে দিয়েছে তারা। স্পষ্ট জানাচ্ছে, ঘুরে দাঁড়ানোর টাকা আসছে বলে বহু দিন ধরেই শোনা যাচ্ছে। কিন্তু এখনও তার দেখা নেই। ফলে জেটের ভাগ্যও শেষে কিংফিশারের পরিণতির দিকে গড়াচ্ছে কি না, তা নিয়ে শঙ্কিত তারা।
জেটকে বিমান ভাড়া দেওয়া এক সংস্থার কথায়, ‘‘বকেয়া মেটানোর টাকা আসছে বলে শোনা যাচ্ছে বহু দিন থেকে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তা চোখে দেখা যায়নি।... ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য সংস্থার পেশ করা প্রস্তাবেও তেমন আস্থা নেই। দেখেশুনে মনে হচ্ছে, ফের তৈরি হচ্ছে কিংফিশারের মতো পরিস্থিতি। যেখানে ঋণদাতা ব্যাঙ্ক নিয়ন্ত্রণ নিয়েছিল ঠিকই। কিন্তু সিংহভাগ শেয়ার হাতে নিয়ে সংস্থা চালানোর ইচ্ছে তাদের ছিল না।’’
সংশ্লিষ্ট সূত্রে খবর, গত মাসে যেখানে জেটের চারটি বিমান বসিয়ে দেওয়া হয়েছিল, সেখানে এ মাসে তা পৌঁছেছে ন’টিতে। জেটের যদিও দাবি, বকেয়া না মেটানোয় এ পর্যন্ত পাঁচটি বিমান বসিয়ে দেওয়া হয়েছে।
দেনা ঝেড়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া অবস্থা থেকে ঘুরে দাঁড়াতে বৃহস্পতিবারও শেয়ারহোল্ডারদের সঙ্গে বৈঠক করেছে জেট। ফের কথা হয়েছে ব্যাঙ্কগুলিকে ধারের বিনিময়ে শেয়ার দিয়ে ঋণ ঢেলে সাজা নিয়ে। কিন্তু সেই চেষ্টা কতটা ফলপ্রসূ হবে, তা নিয়ে পুরো নিশ্চিত নয় সংশ্লিষ্ট মহল। সেই প্রসঙ্গেই বিজয় মাল্যের বসে যাওয়া বিমান সংস্থা কিংফিশারের প্রসঙ্গ টেনেছেন তাঁরা। মনে করিয়েছেন, সেখানেও সংস্থার নিয়ন্ত্রণ ব্যাঙ্ক নিয়েছিল। কিন্তু সংস্থা তাতে বাঁচেনি। সিংহভাগ শেয়ার নিয়ে সংস্থা চালাতে রাজি হয়নি ব্যাঙ্কও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy