Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

বাজার চাঙ্গা চার দিন বাদে, বাড়ল টাকাও

টানা চার দিন পতনের পরে ঘুরে দাঁড়াল শেয়ার বাজার। বৃহস্পতিবার এক লাফে সেনসেক্স বেড়ে গেল ৩৩০.৬৩ পয়েন্ট। বাজার বন্ধের সময়ে সূচক এসে থিতু হয় ২৬,৭২৬.৩৪ অঙ্কে। পাশাপাশি নিফ্‌টি ৯৭.৭৫ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮,২০৬.৬০ অঙ্কে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ জুন ২০১৬ ০৮:৫০
Share: Save:

টানা চার দিন পতনের পরে ঘুরে দাঁড়াল শেয়ার বাজার। বৃহস্পতিবার এক লাফে সেনসেক্স বেড়ে গেল ৩৩০.৬৩ পয়েন্ট। বাজার বন্ধের সময়ে সূচক এসে থিতু হয় ২৬,৭২৬.৩৪ অঙ্কে। পাশাপাশি নিফ্‌টি ৯৭.৭৫ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮,২০৬.৬০ অঙ্কে।

শেয়ার বাজারের পাশাপাশি বেড়েছে টাকার দামও। ডলারের সাপেক্ষে টাকার দাম এই দিন ১২ পয়সা বেড়ে যাওয়ার ফলে লেনদেন বন্ধের সময়ে প্রতি ডলারের দাম ছিল ৬৭.১৫ টাকা।

গত কয়েক দিনে বেশ কিছু বিষয়ের অবস্থান এমন যায়গায় এসে দাঁড়িয়েছে, যা শেয়ার বাজারের অনুকূলে। যেমন: ১) পণ্য-পরিষেবা কর চালুর সম্ভাবনা বাড়া, ২) ভাল বর্ষার সম্ভাবনা, ৩) আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বেড়ে ব্যারেল প্রতি ৫০ ডলার ছোঁয়া এবং ৪) ভারতের বাজারে বিদেশি বিনিয়োগকারী সংস্থাগুলির লগ্নির বহর বৃদ্ধি শেয়ার বাজারকে চাঙ্গা করে তুলতে সহায়কের ভূমিকা পালন করেছে বলে মনে করছেন বাজার বিশেষজ্ঞরা।

তবে শেয়ার বাজার চাঙ্গা হয়ে ওঠার ক্ষেত্রে প্রধান ভূমিকা যে পণ্য-পরিষেবা কর আইন চালু হওয়ার সম্ভাবনাই পালন করেছে, সে ব্যাপারে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে অধিকাংশই একমত। শেয়ার বাজার মহল মনে করে, ওই আইনটি পাশ হলে দেশের ব্যবসা বাণিজ্যের ক্ষেত্রে কর ব্যবস্থার চিত্রটিই পাল্টে যাবে। অবশ্য তাঁদের মতে গত চার দিনে সেনসেক্স ৬২৫ পয়েন্টেরও বেশি পড়ে যাওয়ার ফলে এ দিন পড়তি বাজারে শেয়ার কেনার সুযোগও লগ্নিকারীরা কাজে লাগিয়েছেন। যা সূচকের পারাকে দ্রুত উপরে তুলে দিয়েছে।

তবে বিশেষ করে দু’টি বিষয় শেয়ার বাজারে উদ্বেগ সৃষ্টি করতে পারে বলে মনে করছেন বাজার বিশেষজ্ঞ এবং স্টুয়ার্ট সিকিউরিটিজের চেয়ারম্যান কমল পারেখ। তিনি বলেন, ‘‘ব্রিটেন ইউরোপীয় ইউনিয়নে থাকবে কি না, তা নিয়ে চূড়ান্ত অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়েছে। যদি ব্রিটেন বেরিয়ে য়ায়, তাহলে বিশ্ব বাজার তোলপাড় হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ভারতের শেয়ার বাজারে ঢালা অনেক বিদেশি তহবিল তুলে নিতে পারেন বিনিয়োগকারীরা। তা ছাড়া বিদেশি মুদ্রার বাজারেও সৃষ্টি হতে পারে সমস্যা।’’

এর পাশাপাশি আমেরিকার শীর্ষ ব্যাঙ্ক ফেডারেল রিজার্ভ সুদের হার বাড়ালেও তা ভারতের শেয়ার বাজারে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। তবে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে অনেকেই মনে করেন, ব্রিটেন ইউরোপে থাকে কি না, তা না-দেখা অবধি ফেডারেল রিজার্ভ সুদের হার বাড়ানোর পথে হাঁটবে না।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

World market money
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE