Advertisement
০৪ মে ২০২৪
নজর এখন সুদ, ফল, ভোটে

বাজার উঁচু, তবু বহাল অনিশ্চয়তা

সামনে অনেকগুলি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা অপেক্ষা করে আছে। ভাল-মন্দ যা-ই হোক, সে সবের জের পড়বে সূচকে।

অমিতাভ গুহ সরকার
শেষ আপডেট: ০১ এপ্রিল ২০১৯ ০৩:১০
Share: Save:

আজ যখন নতুন অর্থবর্ষে পা রাখলাম, তখন সেনসেক্স ৩৮,৬৭২ অঙ্কে। গত অর্থবর্ষে ছোঁয়া রেকর্ডের (৩৮,৯৯০ পয়েন্ট) খুব কাছে। নিফ্‌টি-ও বছর শেষ করেছে ১১,৬২৪ পয়েন্টে। ছোট-মাঝারি শেয়ারগুলিতে একটু হলেও প্রাণ ফিরেছে। উন্নতি হয়েছে চুপসে যাওয়া ইকুইটি (শেয়ার ভিত্তিক) ফান্ডের ন্যাভে। মূল্যবৃদ্ধি মাথা তুললেও, নিয়ন্ত্রণে। তবু বলা যাবে না, নতুন বছরে অনিশ্চয়তার মেঘ সরেছে সাড়ে ৩৮ হাজার পেরিয়ে যাওয়া বাজারের উপর থেকে। বরং লগ্নিকারীদের আরও বেশি সতর্ক হয়ে পা ফেলতে হবে।

সামনে অনেকগুলি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা অপেক্ষা করে আছে। ভাল-মন্দ যা-ই হোক, সে সবের জের পড়বে সূচকে। এগুলির মধ্যে অন্যতম—

• সুদের হার। ৪ এপ্রিল যা জানাবে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। রেপো রেট কমলে, সুদ কমবে ঋণে। শিল্পের দাবি, বৃদ্ধিতে গতি আনতে এটা জরুরি।

• দু’সপ্তাহের মধ্যে শুরু হবে সংস্থার ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষের ফল প্রকাশ।

• লোকসভা ভোটের যজ্ঞ।

• দেশ জুড়ে বর্ষার গতিপ্রকৃতি।

অর্থনীতির স্বাস্থ্য যে এখন পোক্ত, তা বলা যাবে না। বাজার মূলত উঠছে বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলির পুঁজির জোরে। যা চিন্তা বাড়াচ্ছে। তাই পায়ের তলার জমি মজবুত করতে লগ্নিকারীরা এখন ভাল খবর শুনতে চান। যেমন সুদ কমা, কেন্দ্রে স্থিতিশীল সরকার আসা, বৃষ্টি ভাল হওয়া, সংস্থাগুলির তাক লাগানো ফল, চিন-মার্কিন শুল্ক সন্ধি ইত্যাদি। কিন্তু পুরোটাই আপাতত সময়ের হাতে।

আশঙ্কা বাড়িয়েছে বিশ্ব বাজারে বাড়তে থাকা তেলের দর। যা অব্যাহত থাকলে, ধাক্কা খেতে পারে বিশ্ব অর্থনীতি। বিশেষত ডিসেম্বরে যেহেতু চলতি খাতে বিদেশি মুদ্রা লেনদেন ঘাটতি বেড়ে পৌঁছেছে ১৬,৯০০ কোটি ডলারে। বাণিজ্য ঘাটতি বেড়ে ৪,৯৫০ কোটি। আছে রাজকোষ ঘাটতিও।

সুখের কথা, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক দু’দফায় সুদ কমালেও জমায় সুদ এখনও তেমন কমেনি। এই অর্থবর্ষের প্রথম তিন মাসে সুদ কমানো হয়নি স্বল্প সঞ্চয়ে। ৮.৭% পর্যন্ত সুদ মিলছে সেখানে। বিভিন্ন ব্যাঙ্ক জমায় সুদ দিচ্ছে ৬.৭৫%-৮%। ভারত সরকারের বন্ডে সুদ ৭.৭৫%। এক সময় বন্ডের ইল্ড বা প্রকৃত আয় কমলেও, এখন তা ৭.৪০ শতাংশের আশেপাশে।

তবে গত অর্থবর্ষ ভাল কাটেনি নতুন ইসুর। পাবলিক ইসু মারফত সংগ্রহ এক-তৃতীয়াংশে নেমেছে। প্রথম শেয়ার ইসু (আইপিও) মারফত সংগ্রহ নেমেছে ১৬,২৯৪ কোটিতে। যা ইঙ্গিত দেয়, গত বছরে নতুন প্রকল্প ও তাতে লগ্নি ভাল রকম কমেছে। কেন্দ্র অবশ্য বিলগ্নিকরণের লক্ষ্য পূরণ করেছে।

(মতামত ব্যক্তিগত)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Share Market Sensex
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE