Advertisement
E-Paper

এক হারের দাবি ওড়ালেন মোদী

এ দিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কার্যত উড়িয়ে দিয়েছেন একটি হার চালুর সওয়াল। জিএসটি নিয়ে কেন্দ্রকে বিঁধতে গিয়ে বারবারই যে সওয়াল করছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী বা প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০২ জুলাই ২০১৮ ০৩:৪২
বার্তা: বর্ষপূর্তির অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ে বক্তব্য পেশ করছেন জেটলি। শ্রোতার ভূমিকায় অন্তর্বর্তী অর্থমন্ত্রী পীযূষ গয়াল, অর্থ সচিব হাসমুখ আঢিয়া (ডান দিক থেকে প্রথম ও দ্বিতীয়)। নিজস্ব চিত্র

বার্তা: বর্ষপূর্তির অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ে বক্তব্য পেশ করছেন জেটলি। শ্রোতার ভূমিকায় অন্তর্বর্তী অর্থমন্ত্রী পীযূষ গয়াল, অর্থ সচিব হাসমুখ আঢিয়া (ডান দিক থেকে প্রথম ও দ্বিতীয়)। নিজস্ব চিত্র

কংগ্রেস দাবি তুলেছে জিএসটির আওতায় একটি মাত্র করের হার চালুর। নতুন কর জমানার বর্ষপূর্তি পালনের দিনেই তার জবাব দিতে মাঠে নামল কেন্দ্র।

এ দিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কার্যত উড়িয়ে দিয়েছেন একটি হার চালুর সওয়াল। জিএসটি নিয়ে কেন্দ্রকে বিঁধতে গিয়ে বারবারই যে সওয়াল করছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী বা প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম। মোদী স্পষ্ট জানান, এমন কোনও পরিকল্পনা নেই তাঁদের। বিরোধীদের বিরুদ্ধে পাল্টা ব্যাট ধরে যুক্তি দেন, দুধ আর মার্সিডি়জের উপর কর কখনওই এক হতে পারে না।

এক সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘তা হলে খাদ্যপণ্যের উপরে কর শূন্য রাখা যাবে না। কংগ্রেসের বন্ধুরা যখন জিএসটির আওতায় একটি মাত্র হার চালু করার যুক্তি দেন, কার্যত তাঁরা খাদ্যপণ্যেও ১৮% কর চাপাতেই বলেন।’’

মোদী একা নন। যে রাহুল এই করকে ‘গব্বর সিংহ ট্যাক্স’ তকমা দিয়েছেন, অসুস্থতার কারণে অর্থ মন্ত্রক থেকে দূরে থাকা অরুণ জেটলিকেও তাঁর সঙ্গে রবিবার ছায়াযুদ্ধ চালাতে হয়েছে দিল্লির অম্বেডকর ভবনে। সেখানেই এ দিন পালন হয় জিএসটির বর্ষপূর্তির অনুষ্ঠান। জেটলি বলেন, ‘‘সিঙ্গাপুরে খাবার ও ভোগ্যপণ্য, দু’টিতেই ৭% হারে কর চাপে। কিন্তু ভারত, সিঙ্গাপুর এক নয়। যে দেশে এখনও দারিদ্র সীমার নীচে বাস করেন বহু মানুষ, সেখানে খাবার ও আমজনতার ব্যবহার্য নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যে সুরাহা দিতেই হয়।’’

বিশ্ব বাজারে অশোধিত তেলের দামের জেরে দেশে পেট্রল, ডিজেল বাড়তে থাকায় বেশ কিছু দিন ধরেই পেট্রোপণ্যকে জিএসটির আওতায় আনার দাবি উঠছে। এ দিনের অনুষ্ঠানেও একই দাবি তুলেছেন সিআইআই সভাপতি রাকেশ মিত্তল, ফিকি সভাপতি রাশেষ শাহ, পিএইচডি চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি অনিল খেতান। সওয়াল করেছেন, পেট্রল, ডিজেল, বিদ্যুৎ, মদের মতো যে সব পণ্য এই করের বাইরে আছে, সেগুলিকে এখনই এর আওতায় আনা হোক। যে দাবি রাহুল, চিদম্বরমদেরও। কিন্তু জেটলির যুক্তি, রাহুল-চিদম্বরম যে কথা বলেছেন, কংগ্রেসি রাজ্যের অর্থমন্ত্রী সে কথা বলছেন না। বিরোধীদের একহাত নিয়ে তিনি বলেন, ইউপিএ আমলে তো পেট্রোপণ্যকে পাকাপাকি ভাবে জিএসটির বাইরে রাখার বন্দোবস্ত হয়েছিল। জেটলির মতে, পেট্রোপণ্যে জিএসটি চাপাতে গেলে সংবিধান সংশোধন করতে হত। রাজ্যগুলি যখন রাজস্ব আয় নিয়ে নিশ্চিন্ত হবে, এখনই আসবে এ বিষয়ে ঐকমত্য গড়ে তোলার আদর্শ সময়।

চিদম্বরম অবশ্য রবিবারও পেট্রোপণ্য ও বিদ্যুৎকে জিএসটির আওতায় আনার সওয়াল করেছেন। বলেছেন, পরে ধীরে ধীরে করের হার তিনটি ও একটিতে নামানো হোক। তা যেন ১৮ শতাংশের বেশি না হয়।

জেটলির পাল্টা যুক্তি, কর আদায় বাড়লে বহু পণ্যে ২৮ শতাংশের বদলে কম হারে কর বসানো সম্ভব হবে। তবে বহাল থাকবে ভোগ্যপণ্য ও ক্ষতিকারক পণ্যে ২৮% জিএসটি।

Finance Narendra Modi GST Fuel Price জিএসটি BJP Congress
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy