বৈদ্যুতিক গাড়ির বিক্রি বাড়াতে সম্প্রতি ফেম-২ প্রকল্পে ১০,০০০ কোটি টাকা ভর্তুকি দেওয়ার কথা বলেছে কেন্দ্র। দূষণ কমানোর লক্ষ্যে সেই উদ্যোগকে স্বাগতও জানিয়েছে শিল্প। কিন্তু এ বার তাদেরই একাংশের দাবি, দূষণ কমানোই যদি প্রধান লক্ষ্য হয় তবে শুধু বৈদ্যুতিক কেন, জোর দেওয়া হোক এলপিজি (তরল প্রাকৃতিক গ্যাস) চালিত গাড়িতেও। এই গাড়ির ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের যৌথ মঞ্চ ইন্ডিয়ান অটো এলপিজি কোয়ালিশনের (আইএসি) সওয়াল, বৈদ্যুতিক গাড়ির সুফল পেতে অপেক্ষা করতে হবে লম্বা সময়। অথচ হাতের কাছে থাকা এলপিজি ব্যবহার করলে দ্রুত দূষণ সমস্যার সমাধান হতে পারে।
যে কারণে গাড়িতে ব্যবহৃত এলপিজিতে জিএসটি ১৮% থেকে কমিয়ে ২% করা ও তা ব্যবহারের উপযুক্ত পরিবেশ তৈরির মতো সুবিধার দাবি জানিয়েছে তারা। প্রস্তাব দিয়েছে প্রচলিত জ্বালানির গাড়িগুলিকে এলপিজিতে বদলাতে প্রয়োজনীয় ‘কিট’ বা যন্ত্রাংশের কর ২৮% থেকে কমিয়ে ৫% করার। সেই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নিয়ম-কানুন সংস্কারেরও। তাদের বক্তব্য, এই পথে হাঁটলে চাহিদা বাড়ানো যাবে এলপিজি নির্ভর গাড়ির। এখন অটো ও কিছু যাত্রী গাড়ি এলপিজিতে চলে। কিছু ক্ষেত্রে পেট্রলের পাশাপাশিই এই জ্বালানি ব্যবহারের সুবিধা আছে।
ফেম-২ প্রকল্পে দুই, তিন ও চার চাকার গাড়ি ও বাসের ক্ষেত্রে ওই ভর্তুকি দেবে কেন্দ্র। ক্রেতারা গাড়ি কিনতে গেলে দামে এককালীন ছাড় হিসেবে যা পাবেন। তবে গাড়ি শিল্প মহলের দাবি, পুরোদস্তুর বৈদ্যুতিক গাড়ি আনতে সময় লাগবে। আইএসি-র ডিরেক্টর জেনারেল সুয়াশ গুপ্ত বলেন, ‘‘ভারতের বেশ কিছু শহরে দূষণ অত্যাধিক। অবিলম্বে সমাধান জরুরি। এখন দেশের ৬৫% বিদ্যুৎ জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে তৈরি হয়। এবং তা হাতের কাছেই রয়েছে। যেখানে বৈদ্যুতিক গাড়ি আনতে লাগবে প্রায় ২০ বছর। তত দিন কি অপেক্ষা করব? নিশ্চয়ই নয়!’’