বার্তা: সভায় নিলেকানি। ছবি: পিটিআই।
সামঞ্জস্যহীন দরে ইজরায়েলীয় সংস্থা পানায়া অধিগ্রহণ নিয়ে ইনফোসিসের প্রাক্তন এমডি-সিইও বিশাল সিক্কার বিরুদ্ধে তোপ দেগেছিলেন এন আর নারায়ণ মূর্তি-সহ প্রতিষ্ঠাতারা। বলা হয়েছিল, তা থেকে না কি অন্যায় সুবিধা পেয়েছেন সিক্কা। দাবি ছিল, তার তদন্ত রিপোর্ট সামনে আনার। অথচ মঙ্গলবার তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাটির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও নতুন চেয়ারম্যান নন্দন নিলেকানি সেই অধিগ্রহণকে ‘কলঙ্ক-মুক্ত’ই বললেন। জানালেন, কোনও দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া যায়নি। পর্ষদ উড়িয়ে দিল রিপোর্ট প্রকাশের দাবিও। ফলে অনেকেই প্রশ্ন তুললেন তা হলে আর সিক্কাকে সরতে হল কেন? আর খোদ মূর্তি জানালেন, ‘‘আমি হতাশ’’।
এ দিন নিলেকানিদের ঘোষণায় ফের প্রশ্ন উঠেছে ইনফোসিস পরিচালনার স্বচ্ছতা নিয়ে। যা না-থাকার অভিযোগে সরতে হয়েছে সিক্কাকে। আবার যা ফেরানোর দায়িত্ব দিয়েই আনা হয়েছে নিলেকানিকে। সংশ্লিষ্ট মহলের প্রশ্ন, সেই স্বচ্ছতা এখন কোথায়? মূর্তি বলেছেন, ‘‘মূল প্রশ্ন রয়েই গেল। কেন পর্ষদ প্রাক্তন সিএফও রাজীব বনসলকে অস্বাভাবিক অর্থ মেটানোর চুক্তিতে সায় দিয়েছিল? কেন তারা অনেক আগে হাতবদলের তথ্য জানায়নি? এর মানে কেউ সত্যটা জানে না!’’ উল্লেখ্য, সংস্থা ছাড়ার সময়ে বনসলকে আকাশছোঁয়া টাকার প্রতিশ্রুতি আসলে পানায়া কাণ্ডে তাঁর মুখ বন্ধ রাখার ‘টোপ’ হিসেবেই দেখেছিলেন অনেকে।
সিক্কার জমানায় ব্যবসা, মুনাফা কিংবা শেয়ার দরের নিরিখে ফল খারাপ করেনি ইনফোসিস। কিন্তু বারবার সংস্থা পরিচালনার স্বচ্ছতা নিয়েই তোপ দাগা হয়েছিল। যার অন্যতম ছিল পানায়া অধিগ্রহণ। এ দিন দ্বিতীয় ত্রৈমাসিক ফলে ইনফোসিসের নিট মুনাফা ৩.৩% বেড়েছে। ছাঁটতে হয়েছে ব্যবসার পূর্বাভাস। আবার পানায়া রিপোর্টও সামনে আসেনি। নতুন তরজা শুরুর সম্ভাবনাও তাই উড়িয়ে দিচ্ছেন না অনেকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy