ক্ষুব্ধ কৃষকের মন পেতে মোদী সরকারকে কি পথ দেখাবে কালিয়াই?
তেলঙ্গানার ‘রায়তু বন্ধু’-র পরে ওড়িশার ‘কালিয়া’। কৃষক অ্যাসিস্ট্যান্স ফর লাইভলিহুড অ্যান্ড ইনকাম অগমেন্টেশন।
লোকসভা ভোটের আগে চাষিদের আর্থিক সুরাহা দেওয়ার রাস্তা খুঁজতে এ বার ওড়িশার নবীন পট্টনায়কের মডেলও খতিয়ে দেখতে শুরু করল মোদী সরকার। যেখানে ৫ একর পর্যন্ত জমির মালিক ছোট ও প্রান্তিক চাষির জন্য রয়েছে সুরাহার বন্দোবস্ত। আর এককালীন আর্থিক সুবিধা পান ভাগচাষি ও ক্ষেতমজুররা।
এর আগে প্রকল্প সাজাতে কেন্দ্র চোখ রেখেছিল তেলঙ্গানায় মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের ‘রায়তু বন্ধু’-তে। যে প্রকল্পে চাষের মরসুমের শুরুতেই একর প্রতি ৪,০০০ টাকা করে পৌঁছয় কৃষকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। যাতে ভর করে দ্বিতীয়বার মুখ্যমন্ত্রীর কুর্শিতে ফিরেছেন রাও। এবং ঠিক যে ধাঁচে পশ্চিমবঙ্গে ‘কৃষকবন্ধু’ এনেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু কৃষি বিশেষজ্ঞদের মতে, দুই প্রকল্পেরই সমস্যা, এতে শুধু জমির মালিকরাই উপকৃত হন। ভাগচাষি বা খেতমজুররা নন। ওড়িশা মডেলে সেই খামতিই ভরাট করতে চেয়েছেন নবীন।
মলমের খোঁজ
• ভোটের আগেই কৃষকের ক্ষোভ মেটাতে মরিয়া কেন্দ্র।
• প্রকল্প পরিকল্পনায় প্রথমে চোখ ছিল তেলঙ্গানার রায়তু বন্ধুর উপরে।
• খতিয়ে দেখা হচ্ছে ওড়িশার কালিয়া-ও।
ওড়িশা-মডেল
• ছোট ও প্রান্তিক চাষির (৫ একর পর্যন্ত জমির মালিক) জন্য পরিবার পিছু ৫,০০০ টাকা, পাঁচটি চাষের মরসুমে।
• ভাগচাষি ও খেতমজুরকে (যাঁর জমির রেকর্ড নেই) পরিবার পিছু এককালীন ১২,৫০০ টাকা
• ২ লক্ষ টাকার জীবন বিমা।
• ৫০,০০০ পর্যন্ত সুদমুক্ত কৃষি ঋণ।
তবে কৃষি মন্ত্রক সূত্র বলছে, এ ক্ষেত্রে সমস্যা হল ভাগচাষি ও খেতমজুরদের চিহ্নিত করা। কৃষি বিশেষজ্ঞ অশোক গুলাটিও বলছেন, জমির রেকর্ড না-থাকায় কাজটা কঠিন। অনেকের আবার প্রশ্ন, নবীন এ ক্ষেত্রে এককালীন সাহায্য ঘোষণা করায়, আখেরে লাভ হবে কতখানি?
গুলাটি অবশ্য প্রকল্পের প্রশংসা করেন। তাঁর মতে, ঋণ মকুব বা সহায়ক মূল্য ঘোষণা করে জট না-পাকিয়ে, কৃষকদের কাছে সরকারি অর্থ সাহায্য পৌঁছনো যুক্তিযুক্ত। এতে ফসলের
বাজারেও দাম ওঠাপড়া করে না। কমে অনিশ্চয়তা। ক্ষুব্ধ কৃষকের মন পেতে এই কালিয়াই শেষে মোদী সরকারকে পথ দেখায় কি না, তা-ই দেখার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy