প্রতীকী ছবি।
যে দিন কর্নাটকের বিটকয়েন কেলেঙ্কারিতে নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে তোপ দেগে সুপ্রিম কোর্টের নজরদারিতে তদন্তের দাবি তুললেন কংগ্রেস নেতৃত্ব, সে দিনই ডিজিটাল মুদ্রা বা ক্রিপ্টোকারেন্সি নিয়ে বৈঠকে বসলেন প্রধানমন্ত্রী। সূত্রের খবর, সেখানে বিটকয়েন-সহ ডিজিটাল মুদ্রা লেনদেন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে কেন্দ্র। শীঘ্রই লেনদেন বন্ধের জন্য আইনি ব্যবস্থা আনতে পারে তারা। বন্ধ করা হতে পারে ক্রিপ্টোকারেন্সিতে লগ্নি করা নিয়ে বিজ্ঞাপনও।
গত বছর বিটকয়েন চুরি করা হ্যাকার শ্রীকৃষ্ণ-সহ এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে বেঙ্গালুরু পুলিশ। শ্রীকৃষ্ণের বিরুদ্ধে একাধিক বিদেশি সংস্থা থেকে প্রায় দু’হাজার বিটকয়েন হ্যাক করে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। পরবর্তী সময়ে ওই ব্যক্তির অ্যাকাউন্ট থেকেও সেই মুদ্রা চুরির অভিযোগ উঠেছিল। কংগ্রেসের প্রশ্ন, ওই বিটকয়েনগুলি কোথায়, কাকে পাচার করা হল, সে বিষয়ে জবাব দিতে হবে কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাইকে। কারণ, ঘটনার সময়ে তিনি রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন। আন্তর্জাতিক অপরাধ হলেও শ্রীকৃষ্ণকে গ্রেফতারের প্রায় পাঁচ মাস পরে কেন ইন্টারপোলকে জানানো হল, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে কংগ্রেস। দলের নেতা রাহুল গাঁধী পরোক্ষ ভাবে এই ঘটনায় মোদী জড়িয়ে রয়েছেন বলে অভিযোগ করেন। কংগ্রেসের অভিযোগ, শ্রীকৃষ্ণ যে বিটকয়েন চুরি করেছিলেন, তা কোনও বিজেপি নেতাকে পাইয়ে দেওয়া হয়েছে। তাই স্বচ্ছ তদন্তের স্বার্থে সুপ্রিম কোর্টের নজরজারিতে তদন্তের হওয়া দরকার।
এই পরিস্থিতিতে শনিবার অর্থ, স্বরাষ্ট্র-সহ বিভিন্ন মন্ত্রককে নিয়ে বৈঠকে ক্রিপ্টোকারেন্সি লেনদেনের বিষয়টি খতিয়ে দেখেন মোদী। নেওয়া হয় বিশেষজ্ঞদের পরামর্শও। সরকারি সূত্রের ইঙ্গিত, বিটকয়েনের মতো ডিজিটাল মুদ্রা নিয়ে কেন্দ্রের উদ্বেগের প্রধান কারণ হল, এতে বাড়তে পারে বেআইনি লেনদেন। যা দেশের আর্থিক ব্যবস্থায় সমস্যা এবং সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলিকে অর্থ সরবরাহের রাস্তা তৈরি করতে পারে। যে কারণে এই লেনদেন চলতে দেওয়া সম্ভব নয়। বৈঠকে যোগ দেওয়া অনেকেরই মতে, বিশ্বের বহু দেশে বিটকয়েনে লেনদেন চালু রয়েছে। ফলে তাদের সঙ্গে কথা বলেই ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy