নরেন্দ্র মোদী
বাজেট ঘোষণার পরেও কৃষকদের ক্ষোভ না মেটায় আজ আরও দরাজ হতে হল প্রধানমন্ত্রীকে। নীতি আয়োগের কমিটির সুপারিশ আসার আগেই কৃষকদের চাষের সব খরচ পুষিয়ে দিতে ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য নির্ধারণে আরও বিষয়কে যোগ করলেন প্রধানমন্ত্রী।
গতকালই বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ কবুল করেছিলেন, দেশে কৃষকদের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে। আজ প্রধানমন্ত্রী তাঁর রেডিওর ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে নিজেই ব্যাখ্যা করলেন ন্যূনতম সহায়ক মূল্য (এমএসপি) দেওয়ার ক্ষেত্রে খরচের মাপকাঠি।
বাজেটের পরে রাজ্যসভায় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি বলেন, চাষের খরচের দেড় গুণ মূল্য দেওয়া হবে, তার ভিত্তি হবে ‘এ-টু’ বা অ্যাকচুয়াল পেড আউট কস্টের (প্রকৃত খরচ) সঙ্গে ‘এফ-এল’ বা পারিবারিক শ্রমের খরচ যোগ করে। কিন্তু কৃষক ও বিরোধীদের দাবি ছিল, ‘সি-টু’ বা সার্বিক (কমপ্রিহেনসিভ) ভিত্তিতে খরচ ধরে তার দেড় গুণ এমএসপি দিতে হবে। এতে রয়েছে পারিবারিক শ্রম ছাড়াও ভাড়া বা লিজে জমি নেওয়ার খরচ। আজ প্রধানমন্ত্রী নিজে সেই ‘সি-টু’র কিছু উপাদান সহায়ক মূল্যের আওতায় আনার কথা একতরফা ঘোষণা করে দিলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কৃষকরা যাতে ন্যায্য মূল্য পান, তার জন্য বাজেটে বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ঠিক হয়েছে, কমপক্ষে খরচের দেড়গুণ যেন কৃষকরা পান। এর পরেই প্রধানমন্ত্রী বলেন, অন্য শ্রমিকদের শ্রম, নিজের পশু বা পশুচালিত যন্ত্র ভাড়া নেওয়ার খরচ, সার-বীজ-সেচের খরচ, রাজ্যকে জমির রাজস্ব দেওয়া, লিজে নেওয়া জমির ভাড়া, এমনকী কৃষকের নিজের ও জমিতে পরিবারের সদস্যদের শ্রমের খরচও এরমধ্যে ধরা হবে।
বিজেপির দাবি, এই ঘোষণায় প্রতিশ্রুতির থেকেও বেশি সুবিধা দেওয়া হয়েছে। লিজে নেওয়া ভাড়া আগে পরিকল্পনায় ছিল না। ফলে এই ব্যবস্থা কার্যকর হলে কৃষকদের ক্ষোভ থাকবে না। কিন্তু বিরোধীদের বক্তব্য, প্রধানমন্ত্রী সব সময়েই ফাঁপা প্রতিশ্রুতি দেন। চার বছর আগে বিজেপির ইস্তাহারের ঘোষণা এখন রূপায়ণের কথা বলা হচ্ছে। তা-ও সেটি স্বামীনাথন কমিটির পুরো সুপারিশ মেনে নয়। ফলে প্রধানমন্ত্রী যা-ই বলুন, না আঁচালে বিশ্বাস নেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy