আর্থিক বছর বদল ও রাজকোষ ঘাটতির লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।
অর্থ মন্ত্রকের শীর্ষ কর্তারা এই দু’টি বিষয়েই বিভিন্ন রকমের মতামত প্রধানমন্ত্রীর দফতরকে জানিয়েছেন। সূত্রের খবর, মোদীকে তাঁর দফতরের কর্তারা এ বার খুঁটিনাটি বিষয়গুলি জানাবেন। তার পরে সিদ্ধান্ত হবে।
১ এপ্রিলের বদলে ১ জানুয়ারি থেকে অর্থবর্ষ কবে শুরু করা যায়, তা নিয়ে অর্থ মন্ত্রকের কর্তারা প্রধানমন্ত্রীর দফতরের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। যে বছর থেকে জানুয়ারিতে অর্থবর্ষ শুরু হবে, তার আগের বছর নয় মাসেই অর্থবর্ষ শেষ করে দিতে হবে। সরকারের একাংশ ২০১৮ বা ২০১৯ থেকে জানুয়ারিতে অর্থবর্ষ শুরুর পক্ষে সওয়াল করলেও, অন্য অংশের মত, জিএসটি-সঙ্গে মানিয়ে নিতে এমনিতেই শিল্প ও ব্যবসায়ী মহলকে যথেষ্ট বেগ পেতে হচ্ছে। এ বার তার উপর অর্থবর্ষ বদল হলে তাদের ফের সমস্যা বাড়তে পারে।
এ দিকে, ঘাটতির লক্ষ্যমাত্রা নিয়েও নতুন আইন চালু করতে চাইছে কেন্দ্র। সূত্রের খবর, আর্থিক দায়বদ্ধতা ও বাজেট ব্যবস্থাপনা আইন তুলে দিতে শীতকালীন অধিবেশনে ঋণ ও আর্থিক দায়বদ্ধতা বিল পেশ হবে। এন কে সিংহর নেতৃত্বাধীন কমিটির সুপারিশ, ২০২২-’২৩ সালের মধ্যে রাজকোষ ঘাটতিকে ২.৫ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্য নেওয়া হোক। কিন্তু মুখ্য অর্থিক উপদেষ্টা অরবিন্দ সুব্রহ্মণ্যনের মতে, রাজকোষ ঘাটতির বদলে এখন প্রাথমিক ঘাটতি নিয়ে মাথা ঘামানো উচিত।
সরকারের আয়-ব্যয়ের ফারাক ও আগের বছরের ঋণের উপর সুদ মেটানোর জন্য ধার নিয়ে রাজকোষ ঘাটতি হিসেব হয়। প্রাথমিক ঘাটতিতে থাকে শুধু চলতি বছরের ঋণ। এ নিয়ে অপেক্ষা এখন মোদীর মতামতের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy