গত সাড়ে পাঁচ বছরে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলি ৬.১৫ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি ঋণ হিসাবের খাতা থেকে মুছে (রাইট অফ) দিয়েছে বলে সংসদে জানাল কেন্দ্র। সোমবার লোকসভায় এক লিখিত প্রশ্নের উত্তরে অর্থ প্রতিমন্ত্রী পঙ্কজ চৌধরির বক্তব্য, এ জন্য তাদের আর্থিক স্বাস্থ্যে প্রভাব পড়বে না। অন্য এক প্রশ্নের উত্তরে গত সাড়ে চার বছরে দেশে ৫,৮৩,২৯১টি ব্যাঙ্ক প্রতারণার ঘটনা ঘটেছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। এর সঙ্গে জড়িত ৩৫৮৮.২২ কোটি টাকা উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
চৌধরি বলেন, ‘‘সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সাড়ে পাঁচ বছরে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলি যত ঋণ দিয়েছে, তার মধ্যে অনুৎপাদক সম্পদে পরিণত হওয়া ৬,১৫,৬৪৭ কোটি টাকা নিয়ম অনুসারে নির্দিষ্ট সময়ের পরে হিসাবের খাতা থেকে মোছা হয়েছে।’’ যদিও তাঁর দাবি, মুছে ফেলার অর্থ এই নয় যে, এই টাকা আদায়ের জন্য চেষ্টা ছেড়ে দেবে ব্যাঙ্কগুলি। টাকা পুনরুদ্ধারের জন্য দেউলিয়া আইন ও বকেয়া পুনরুদ্ধার ট্রাইবুনালে মামলা-সহ সমস্ত পন্থাই অবলম্বন করবে তারা।
এত টাকা রাইট অফ করা হলেও, ব্যাঙ্কগুলির মূলধনের অভাব হবে না বলেও দাবি সরকারের। আজ পঙ্কজ জানান, চার বছর অনুৎপাদক সম্পদ থাকার পরে ওই পুরো বকেয়ার জন্য আর্থিক সংস্থান করা হয়েছে। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলির আর্থিক হালও উন্নত হয়েছে। ২০২২-২৩ সালের পরে তাদের আর মূলধন জোগাতে হয়নি কেন্দ্রকে। উপরন্তু গত ১ এপ্রিল থেকে এখনও পর্যন্ত রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলি বাজারে শেয়ার এবং ঋণপত্র ছেড়ে ১.৭৯ লক্ষ কোটি মূলধন সংগ্রহ করেছে। ফলে তাদের পুঁজির অভাব নেই। যে কারণে ওই ঋণ মোছা হলেও তাতে তাদের আর্থিক অবস্থায় বিশেষ কোনও প্রভাব পড়বে না।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)