E-Paper

রাশিয়ার তেলের উপর অতিরিক্ত নির্ভরতা, সমস্যা বাড়ছে নায়রা এনার্জির

আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বিশ্লেষক সংস্থা কেপলার-এর পরিসংখ্যানে প্রকাশ, এর ফলে নায়ারাকে ইতিমধ্যেই ভাদিনার তেল শোধনাগারে দৈনিক ৪,০০,০০০ ব্যারেল উৎপাদন কমাতে হয়েছে। বাড়াতে হয়েছে রাশিয়ার উপর নির্ভরতা।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০৭:৪৯
ভারতের কৌশলই হল রাশিয়ার কম দামি তেল কেনা এবং প্রথাগত সরবরাহকারীর মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করা।

ভারতের কৌশলই হল রাশিয়ার কম দামি তেল কেনা এবং প্রথাগত সরবরাহকারীর মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করা। —প্রতীকী চিত্র।

নায়ারা এনার্জিতে আংশিক অংশীদারি রয়েছে রাশিয়ার তেল সংস্থা রোজ়নেফ্টের। সেটাই কাল হয়েছে গুজরাতে ভাদিনার তেল শোধনাগারের পরিচালক সংস্থাটির। সম্প্রতি ইউরোপীয় ইউনিয়ন নিষেধাজ্ঞা জারি করে তাদের কালো তালিকায় ঢুকিয়ে দিয়েছে। ফলে বিপাকে পড়েছে নায়ারা। রাশিয়ার বাইরের জায়গাগুলি থেকে অশোধিত তেল কিনতে গিয়ে সমস্যায় পড়ছে তারা। পশ্চিমী জাহাজ সংস্থাগুলি নায়ারার জন্য তেল সরবরাহ করতে অস্বীকার করেছে। পরিসংখ্যান বলছে, এর ফলে রাশিয়ার তেলের উপর নির্ভরতা বাড়াতে বাধ্য হচ্ছে তারা।

আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বিশ্লেষক সংস্থা কেপলার-এর পরিসংখ্যানে প্রকাশ, এর ফলে নায়ারাকে ইতিমধ্যেই ভাদিনার তেল শোধনাগারে দৈনিক ৪,০০,০০০ ব্যারেল উৎপাদন কমাতে হয়েছে। বাড়াতে হয়েছে রাশিয়ার উপর নির্ভরতা। অগস্টে সম্ভবত মস্কোরই ব্যবস্থা করে দেওয়া জাহাজে করে দৈনিক প্রায় ২,৪২,০০০ ব্যারেল তেল সেখান থেকে আনতে হয়েছে তাদের। চলতি মাসের প্রথমার্ধেই তা ছুঁয়েছে ৩,৩২,০০০ ব্যারেল। কিন্তু ওইটুকুই। তারা ইরাক, সৌদি আরবের মতো দেশ থেকে সাম্প্রতিক কালে অশোধিত তেল পায়নি। জুলাইয়ে যারা দৈনিক ১,২০,০০০ ব্যারেল জুগিয়েছিল।

সংস্থার দাবি, গোটা ঘটনায় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে নায়ারা। সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। কারণ, ভূ-রাজনৈতিক ঝুঁকি এড়াতে ভারতের কৌশলই হল রাশিয়ার কম দামি তেল কেনা এবং প্রথাগত সরবরাহকারীর মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করা।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

EU Fuel

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy