Advertisement
E-Paper

‘সানডে’র নাম হোক ‘সান ডিউটি’! এলঅ্যান্ডটি কর্তার রবিবারও কাজের প্রস্তাবে কটাক্ষ গোয়েঙ্কা, দীপিকার

সুব্রহ্মণ্যনের মন্তব্য ভাইরাল হওয়ার পর পরই, সমাজমাধ্যমে কর্মজীবনের ভারসাম্য এবং কর্মীদের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কথা উঠতে শুরু করেছে। এলঅ্যান্ডটি কর্তাকে ‘অসংবেদনশীল’ বলেও মন্তব্য করেছেন নেটাগরিকদের একাংশ।

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১০ জানুয়ারি ২০২৫ ১১:০৫

(বাঁ দিক থেকে) শিল্পপতি হর্ষ গোয়েঙ্কা, এলঅ্যান্ডটি কর্তা এসএন সুব্রহ্মণ্যন এবং অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোন।

সপ্তাহে ৯০ ঘণ্টা কাজ করার প্রস্তাব দিয়ে বিতর্কের মুখে লারসেন অ্যান্ড টুব্রো (এলঅ্যান্ডটি) সংস্থার চেয়ারম্যান এসএন সুব্রহ্মণ্যন। শুধু তা-ই নয়, কর্মীদের রবিবারও অফিস করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। তবে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই হইচই পড়েছে। সমালোচনার মুখে পড়েছেন এলঅ্যান্ডটি কর্তা। সুব্রহ্মণ্যনের সমালোচনা করেছেন শিল্পপতি হর্ষ গোয়েঙ্কা থেকে শুরু করে অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোন। সমাজমাধ্যমেও আলোড়ন ফেলেছে সুব্রহ্মণ্যনের মন্তব্য।

বিষয়টি নিয়ে কটাক্ষ করে এক্স হ্যান্ডলে শিল্পপতি হর্ষ গোয়েঙ্কা লিখেছেন, ‘‘সপ্তাহে ৯০ ঘণ্টা কাজ? এর থেকে ভাল রবিবারের নাম পরিবর্তন করে ‘সানডে’ থেকে ‘সান-ডিউটি’ করা হোক। ‘ডে অফ (কর্মীদের সাপ্তাহিক ছুটির দিন)’-কেও পৌরাণিক ধারণা বলা হোক! কঠোর পরিশ্রম এবং বুদ্ধিদীপ্ত কাজে আমি বিশ্বাস করি।.... কর্মজীবনের ভারসাম্য ঐচ্ছিক নয়, এটি অপরিহার্য। এটা আমার দৃষ্টিভঙ্গি।’’ কর্মীদের দাসের মতো কাজ না করে বুদ্ধি দিয়ে কাজ করারও নিদান দিয়েছেন তিনি।

অন্য দিকে, বৃহস্পতিবার ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্ট শেয়ার করে দীপিকা লিখেছেন, ‘‘এমন উচ্চপদস্থ কর্তাদের মুখে এ ধরনের মন্তব্য শুনে আমি মর্মাহত।’’ কর্মীদের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়েও সরব হতে দেখা গিয়েছে তাঁকে।

বিতর্কের সূত্রপাত বৃহস্পতিবার। ‘ইন্ডিয়াকেরিয়ার্স’ নামের অ্যাকাউন্ট থেকে রেডিটের পাতায় একটি ভিডিয়ো পোস্ট করা হয়। সেখানেই এলঅ্যান্ডটি সংস্থার চেয়ারম্যানকে কর্মজীবনের ভারসাম্য নিয়ে কথা বলার সময় ওই প্রস্তাব দিতে শোনা গিয়েছে। প্রকাশ্যে আসা ভিডিয়োয় সুব্রহ্মণ্যনকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘‘সব কিছু যদি আমার নিয়ন্ত্রণে থাকত তা হলে আমি রবিবারও আমার কর্মীদের কাজ করতে বলতাম। কিন্তু আমি তা পারি না। আমি নিজে রবিবার কাজ করি। বাড়িতে এত ক্ষণ থেকে কী করবে মানুষ? কত ক্ষণ একজন স্বামী তাঁর স্ত্রীর মুখ দেখবেন? একজন স্ত্রীই বা কত ক্ষণ বাড়ি বসে তাঁর স্বামীর মুখ দেখতে পারবেন? তার চেয়ে ভাল হয় সকলে অফিসে গিয়ে কাজ করুন। তাতে জীবনে উন্নতি হবে।’’ তিনি আরও যোগ করেন, ‘‘আমার খারাপ লাগে যে আমি আপনাদের রবিবার কাজ করাতে পারি না। আমি যদি আপনাদের রবিবারও কাজ করাতে পারতাম তা হলে খুব খুশি হতাম। কারণ আমি নিজেও রবিবার কাজ করি।’’

সুব্রহ্মণ্যনের মন্তব্য ভাইরাল হওয়ার পর পরই, সমাজমাধ্যমে কর্মজীবনের ভারসাম্য এবং কর্মীদের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কথা উঠতে শুরু করেছে। এলঅ্যান্ডটি কর্তাকে ‘অসংবেদনশীল’ বলেও মন্তব্য করেছেন নেটাগরিকদের একাংশ। কেউ কেউ আবার সুব্রহ্মণ্যনের প্রস্তাবকে ঘিরে কটাক্ষও করেছেন। সুব্রহ্মণ্যনের মন্তব্যে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে এক নেটাগরিক লিখেছেন, ‘‘স্যর ৯০ ঘণ্টাও কম মনে হচ্ছে। আমাদের সপ্তাহে প্রতি দিন ২৪ ঘণ্টা করে কাজ করা উচিত, তা হলে এঁদের মতো লোকেরা সন্তুষ্ট হবেন।’’ অন্য এক জন আবার লিখেছেন, ‘‘সংস্থাগুলির উচিত নিয়োগের সময় বিভিন্ন প্রকল্প শুরু করার। সপ্তাহে ৩০ ঘণ্টা, সপ্তাহে ৪০ ঘণ্টা, সপ্তাহে ৫০ ঘণ্টা, সপ্তাহে ৭০ ঘণ্টা— আর যে যত ঘণ্টা কাজ করবেন তাঁদের সে রকম বেতন দেওয়া উচিত।’’

SN Subrahmanyan Work Pressure Work hour Larsen & Toubro
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy