ছবি: সংগৃহীত
চতুর্থ শ্রেণির দক্ষ ও যোগ্য কর্মীদের বেশি করে কাজে লাগাতে তাঁদের উন্নতির পথ খোলার ব্যবস্থা চালু করছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা।
নতুন নিয়মে, শিক্ষাগত দিক থেকে যোগ্য ও দক্ষ চতুর্থ শ্রেণির কর্মীরা তৃতীয় শ্রেণির নির্দিষ্ট কয়েকটি পদে কাজ করতে পারবেন। প্রতি তিন বছর অন্তর পরীক্ষার মাধ্যমে যোগ্য প্রার্থীকে নন-টেকনিক্যাল (সহকারী) ও অফিস এগ্জ়িকিউটিভ পদে বেছে নেওয়া হবে। তবে তাঁদের সংস্থায় পাঁচ বছরের কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। সূত্রের খবর, সম্প্রতি পরিচালন পর্ষদের সায় মেলার পরে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যার মূল লক্ষ্যই হল সংস্থার নিজস্ব দক্ষ ও অভিজ্ঞ মানবসম্পদের একাংশকে যোগ্যতা অনুযায়ী কাজে লাগিয়ে পরিষেবার মান বাড়ানো।
বিদ্যুৎ ভবন সূত্রের খবর, কর্তৃপক্ষের নজরে এসেছে চতুর্থ শ্রেণির পদে (টেকনিক্যাল ও নন-টেকনিক্যাল) এমন বহু কর্মী রয়েছেন, যাঁদের শিক্ষাগত যোগ্যতা ও কম্পিউটার চালানো-সহ নানা ক্ষেত্রে দক্ষতা তুলনায় বেশি। অথচ নিয়ম না-থাকায় বছরের পর বছর ওই শ্রেণিতেই কাজ করতে হচ্ছে তাঁদের। এ দিকে তৃতীয় শ্রেণির পদগুলিতে প্রায়ই সংস্থাকে বাইরে থেকে নিয়োগ করতে হয়। অনেক সময়ে নতুন কর্মীরা কিছু দিন পরে চাকরি ছেড়েও দেন। নতুন নিয়মে এখন থেকে তৃতীয় শ্রেণির অফিস এগ্জ়িকিউটিভের মোট শূন্য পদের ১০% ও নন-টেকনিক্যাল (সহকারি) পদের ৫% চতুর্থ শ্রেণির কর্মীদের থেকেই বেছে নেওয়া হবে।
শিল্প মহলের একাংশের মতে, বহু সংস্থাতেই নিজস্ব দক্ষ মানবসম্পদকেই অনেক সময়ে ঠিক পদে কাজে লাগানো হয় না। মার খায় উৎপাদনশীলতা। অনেক সরকারি সংস্থাতেও নিয়মের জাঁতাকলে দক্ষ কর্মীদের উঁচু পদে যাওয়ার সুযোগ থাকে না। ফলে শিক্ষাগত দিক থেকে যোগ্য ও দক্ষ হয়েও নিচু পদে থেকেই চাকরি জীবন শেষ করতে হয়। সূত্রের খবর, বণ্টন সংস্থার চতুর্থ শ্রেণির কর্মীদের উঁচু শ্রেণিতে যাওয়ার ব্যবস্থা চালু হওয়ায়, তাঁরাও কাজে উৎসাহ পাবেন।
রাজ্যের বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, এই ব্যবস্থা দীর্ঘ দিন বন্ধ ছিল। নতুন নিয়মে যোগ্য কর্মীরা উঁচু পদে যেতে পারবেন। ফলে দক্ষ কর্মীদেরও দায়িত্বপূর্ণ পদে কাজে লাগানো যাবে। মন্ত্রী বলেন, ‘‘নির্দেশ জারি হয়েছে। শীঘ্রই প্রথম পর্যায়ের নিয়োগ প্রক্রিয়া চালু হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy