ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি সংস্থাকে (এমএসএমই) মূলধন জোগানো এবং ব্যাঙ্ক ঋণের সুদে ভর্তুকি দেওয়ার প্রকল্পগুলির সুবিধা পাওয়ার শর্ত শিথিল করার সওয়াল করল নীতি আয়োগ। পাশাপাশি, বাজার দখল বাড়াতে ওই সব সংস্থা যাতে উৎপাদনের ক্ষেত্রে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারে ও কর্মীরা দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে সহজে অংশ নিতে পারেন তার ব্যবস্থা করার কথাও বলেছে তারা। মূলত বস্ত্র ও তৈরি কাপড়, রসায়নিক পণ্য, গাড়ির যন্ত্রাংশ এবং খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পের ছোট সংস্থাগুলির উপরে জোর দিয়েছে তাদের রিপোর্টে।
নিয়োগের বক্তব্য, ২০২০-২০২৪ সালে ব্যাঙ্কের মাধ্যমে ছোট শিল্পের ঋণ পাওয়ার হার ১৪% থেকে ২০% হয়েছে। মাঝারি সংস্থাগুলির ৪% থেকে ৯%। কিন্তু তা-ও ২০২০-২১ সালের হিসাবে এমএসএমই-র ঋণের প্রয়োজনের মাত্র ১৯% ব্যাঙ্ক মেটাতে পেরেছে। আরও ৮০ লক্ষ টাকা কোটি টাকা মেটানো যায়নি। তাই রাজ্যস্তরে ছোট শিল্পের মূলধন ও ঋণের সুদে ভর্তুকি প্রকল্পগুলির শর্ত শিথিল করা জরুরি। এতে তাদের আর্থিক সমস্যা কিছুটা দূর হবে। প্রত্যন্ত অঞ্চলের ছোট শিল্পকে ঋণ দেওয়ায় এনবিএফসি সফল ভূমিকা পালন করছে। তাদের ঋণদানের ক্ষমতা বৃদ্ধিতে এগিয়ে আসতে হবে সিডবি-কে।
বিশেষত, ব্যাঙ্ক ও আর্থিক সংস্থা যাতে ছোট শিল্পকে আরও বেশি করে ধার দেয়, সে জন্য ছোট সংস্থার ক্রেডিট গ্যারান্টি ফান্ড ট্রাস্ট-এর শর্তগুলি ঢেলে সাজার পরামর্শ দিয়েছে নীতি আয়োগ। বলা হয়েছে তাদের প্রযুক্তিগত ভাবে দক্ষ করতে নীতি আনার কথা। রাজ্যগুলিকেও তাদের জন্য শিল্পতালুকের মতো পরিকাঠামো তৈরি ও সেখানে যৌথ ভাবে প্রযুক্তি ব্যবহারের সুযোগ কথা বলা হয়েছে। তাদের বিভিন্ন প্রকল্প, সুযোগ-সুবিধা এবং বিদেশের বাজার সম্পর্কে অবগত করাতেও জোর দিয়েছে আয়োগ।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)